একেবারে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের প্রার্থী মুকুল রায়। একসময়ের তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। বর্তমানে তিনি বিজেপিতে। রাজনীতির দুনিয়ায় চাণক্য বলেই পরিচিত তিনি। সেই মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এবার তৃণমূলের প্রার্থী কার্যত নবাগতা টলিপাড়ার কৌশানী মুখোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রের দিকে বৃহস্পতিবার দিনভর নজর ছিল অনেকেরই।
গোটা বাংলার বিভিন্ন কেন্দ্রে যখন ভোটের দিনও বুথে বুথে চষে বেড়ালেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা, স্নায়ুর চাপে ভুগলেন অনেকেই, তখন একেবারে ফুরফুরে মেজাজে বিজেপির মুকুল রায়। কৃষ্ণনগরের নির্দিষ্ট বুথে এদিন তিনি যান। দলীয় নেতা কর্মীদের দেখতে পেয়ে একেবারে হাসিমুখেই তিনি বলেন, কোনও প্রবলেম নেই তো? অসুবিধা নেই তো? তবে কর্মীরা তাঁকে আশ্বস্ত করেন, অত্যন্ত ভালোভাবে ভোট হচ্ছে। দাদা কোথাও কোনও সমস্যা নেই। প্রত্যুত্তরে হাসি ফিরিয়ে দেন মুকুল।
অন্যদিকে এদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে বুথ পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘ময়দানে প্রতিপক্ষকে তো দেখাই যায়নি। জনসংযোগে তিনি আগেই হেরে গিয়েছেন।’ কার্যত বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থীকে এভাবেই বিঁধেছেন তৃণমূল প্রার্থী। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রায় দীর্ঘ ২০ বছর পরে ভোটের লড়াইয়ের ময়দানে নিজেই প্রার্থী হিসাবে নেমেছেন মুকুল রায়। এতদিন নিজে ভোটে না লড়লেও দলের প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ধারন করতেন তিনি। বলা হয়, তাঁর হাত ধরেই ব্যাপক ভাঙন হয়েছিল তৃণমূলে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ভালো ফলের পেছনেও ছিল তাঁর কৌশলী পদক্ষেপ এমনটাও মানেন অনেকেই। এবার সেই তিনিই বিজেপির প্রার্থী। দিনের শেষে প্রশ্ন তো একটাই, কৃষ্ণনগর উত্তরে শেষ হাসি হাসবে কে?