এতদিন যেটা ছিল শুধুই বাগযুদ্ধ, ভোটের দিন সেটাই বদলে গেল পারস্পরিক সংঘর্ষে। যুযুধান দুই শিবির তৃণমূল ও আইএসএফ কার্যত জানিয়ে দিল বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি রাজনৈতিক জমি কেউ কাউকে ছাড়তে রাজি নয়। এই হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। বোমাবাজি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা, রক্তপাত বাদ থাকলনা কিছুই। তৃণমূলের অভিযোগ ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় ৪৭ ও ৪৮ নম্বর বুথে এজেন্ট বসানোর জন্য তারা এদিন সকালে আসছিলেন। সেই সময় প্রথমে এলাকায় বোমাবাজি করা হয়। এরপর কুড়ুল দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আইএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের কর্মীরা। এই ঘটনায় চারজন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন। দুজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে নলমুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ভাঙর থানার পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসেন। অন্যদিকে ক্যানিংয়ের বুরানগড়েও এদিন ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে তাজা বোমা। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লা।এদিকে এই বোমাবাজিকে কেন্দ্র করেও তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তবে আইএসএফ বোমাবাজি ও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্য়দিকে মগরাহাটে বাম সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থীকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার ৪৭ ও ৪৮ নম্বর বুথে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সরব হয়েছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লা।তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ।
এতদিন যেটা ছিল শুধুই বাগযুদ্ধ, ভোটের দিন সেটাই বদলে গেল পারস্পরিক সংঘর্ষে। যুযুধান দুই শিবির তৃণমূল ও আইএসএফ কার্যত জানিয়ে দিল বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি রাজনৈতিক জমি কেউ কাউকে ছাড়তে রাজি নয়। এই হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। বোমাবাজি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা, রক্তপাত বাদ থাকলনা কিছুই। তৃণমূলের অভিযোগ ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় ৪৭ ও ৪৮ নম্বর বুথে এজেন্ট বসানোর জন্য তারা এদিন সকালে আসছিলেন। সেই সময় প্রথমে এলাকায় বোমাবাজি করা হয়। এরপর কুড়ুল দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আইএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের কর্মীরা। এই ঘটনায় চারজন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন। দুজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে নলমুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ভাঙর থানার পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসেন। অন্যদিকে ক্যানিংয়ের বুরানগড়েও এদিন ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে তাজা বোমা। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লা।এদিকে এই বোমাবাজিকে কেন্দ্র করেও তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তবে আইএসএফ বোমাবাজি ও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্য়দিকে মগরাহাটে বাম সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থীকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার ৪৭ ও ৪৮ নম্বর বুথে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সরব হয়েছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লা।তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ।
|#+|
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে গত কয়েকদিন ধরেই আইএসএফ ও তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে সুর চড়ছিল ক্রমশ। খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকির নাম না করে তাঁর বিরুদ্ধে কার্যত চ্যাংড়া, বাচাল , গদ্দার সহ নানা বিশেষণ প্রয়োগ করেছেন। পালটা বিভিন্ন সভা থেকে তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন আব্বাস সিদ্দিকিও। এভাবেই বাংলার রাজনীতিতে ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে আইএসএফ। আর ভোটের দিনও কার্যত সেই প্রাসঙ্গিকতাকে প্রমাণ করতে একেবারে শাসকদলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে ময়দানে নামল আইএসএফ।