প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে জয়ী হলেন ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুশাররফ হোসেন।
এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন মোশারফ হোসেন। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়িয়েছিলেন অমিতকুমার কুণ্ডু। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন সিপিআইয়ের শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়৷ এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে মিম।
দিনাজপুর জেলার ইতিহাস প্রায় দু'হাজার বছর পুরনো৷ পৌরাণিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ উত্তর দিনাজপুর জেলা সেন, পাল, মৌর্য ও ইসলামিক শাসনের ঐতিহ্য ও ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপের স্মৃতি বহন করে চলেছে৷প্রাচীনকালে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলা পুণ্ড্র সাম্রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল৷ ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্র উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রটি ইটাহার সিডি ব্লকের অন্তর্গত।এই কেন্দ্রটি বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রটি আগে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।
ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্র উত্তর দিনাজপুর জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ৩৬ নম্বর ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রটি ইটাহার সিডি ব্লকের অন্তর্গত। ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রটি ৬ নম্বর বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রটি আগে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমল আচার্য জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৮ হাজার ৫০৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইয়ের প্রার্থী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬৯ হাজার ৩৮৭৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমল আচার্য তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএইয়ের প্রার্থী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়কে ১৯ হাজার ১২০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের অমল আচার্য তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইয়ের শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন।
২০০৬ সালের নির্বাচনে সিপিআইয়ের শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায় আইএনসি'র অমল আচার্যকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬, ২০০১ ও ১৯৯৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, সিপিআইয়ের শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায় ইটাহার কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অমল আচার্য, ২০০১ সালে এনসিপি'র ডা.জইনুল আবেদিন ও ১৯৯৬ সালে তৎকালীন কংগ্রেস প্রার্থী ডা.জইনুল আবেদিনকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের ডা.জাইনাল আবেদিন সিপিআইয়ের স্বদেশ চাকিকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে সিপিআই'র স্বদেশ চাকি কংগ্রেসের ডা.জাইনাল আবেদিনকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮২ সালে আইসিএস—কংগ্রেসের ডা.জাইনাল আবেদিন সিপিআইয়ের বসন্তলাল চট্টোপাধ্যায় ও ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের সলিলকুমার গুহকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২, ১৯৭১, ১৯৬৯, ১৯৬৭ ও ১৯৬২ সালে তৎকালীন কংগ্রেস প্রার্থী ডা. জইনুল আবেদিন পরপর পাঁচবার এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে সিপিআইয়ের বসন্তলাল চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন।তার আগে এই আসনে ১৯৫১ সালে কংগ্রেসের বনমালী দাস জিতেছিলেন।