দেশের মধ্যে মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পশ্চিমবঙ্গ-জয়া বচ্চন

আর তাই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল ভবনে। ক্যামেরার সমস্ত ফোকাস তিনি। কারণ তিনি বাংলার মেয়ে।

তৃণমূল ভবনে জয়া বচ্চন। ছবি সৌজন্য–এএনআই।

তিনি শহরে পা রেখেছিলেন। কারণ তাঁর দল তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে। একুশের নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি ঘোষণা করেছে তারা তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করবে। আর তাই তিনি পৌঁছে গেলেন তৃণমূল ভবনে। ক্যামেরার সমস্ত ফোকাস তিনি। কারণ তিনি বাংলার মেয়ে। নিজে মুখেই বললেন সে কথা। সম্বর্ধনা গ্রহণ করলেন রাজ্যসভার সদস্য দোলা সেন এবং রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর কাছ থেকে। হ্যাঁ, তিনি সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন। তিনি বাংলার মেয়ে। অভিনেত্রী। আর প্রথমেই তিনি বললেন, ‘‌আমি বাঙালি। আমরা বাঙালি।’‌ যেন জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। যিনি আজ বলেছেন, বাংলার সঙ্গে ওনার কোনও সম্পর্ক নেই। কী করেছেন বাংলার জন্য।

এখানে উপস্থিত হযে তিনি মনে করিয়ে দিলেন বাংলার কিসে ভালো হবে। তাই তিনি বলেন, ‘‌এখানে অভিনয় করতে আসিনি। মমতার প্রতি ভালবাসায় এখানে এসেছি। তিনদিন থাকব। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করব।’‌ প্রশ্ন উঠেছে, কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করবেন?‌ সটান জবাবে তিনি বলেন, ‘‌একজন মহিলা লড়াই করছেন সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে। বাংলাকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই বাঙালি হিসাবে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ালাম।’‌

দু’‌দফার ভোট ইতিমধ্যেই হযে গিয়েছে। রাত পোহালেই তৃতীয় দফার নির্বাচন। তাংর আগে বাংলার মানুষের কাছে কী বার্তা দিলেন জয়া?‌ তৃমমূল ভবনে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, ‘‌পা ভেঙে গিয়েছে। তাও লড়াই করছেন বাংলার জন্য। কারণ তাঁর হৃদয় ভেঙে যায়নি। দেশের মধ্যে সবচেয়ে মেয়েদের জন্য নিরাপদ রাজ্য বাংলা। তাই আরও আরও বেশি উন্নতি হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে।’‌ তখন বাইরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। আর তাকে উপলক্ষ্য করে বাংলা ও বাঙালিদের জন্য রবি ঠাকুরের কবিতার দু’‌লাইন বললেন, ‘‌বাঙালির ঘরে যত ভাই–বোন এক হোক এক হোক হে ভগবান।’‌