এই আসনে বিজেপি প্রার্থী নরহরি মাহাতো ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ৩০ শতাংশ ভোট।
জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন উজ্জ্বল কুমার। তবে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাই নির্দল প্রার্থী দিব্যজ্যোতি সিং দে'কে সমর্থন করছে তৃণমূল। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন নরহরি মাহাতো। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে দাঁড়াচ্ছেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো।
১৯৫৬ সালে পূর্বতন বিহার রাজ্যের মানভূম জেলার সদর মহকুমা পুরুলিয়া জেলা নামে বাংলায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই থেকে এই জেলা এই রাজ্যের অঙ্গ। জেলার পূর্ব সীমান্তে পূর্ব বর্ধমান জেলা, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলা এবং অপর তিনদিকে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। রঘুনাথপুর এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফায় জয়পুরে ভোট হবে। জয়পুর এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। জয়পুর কেন্দ্রটি পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো জয়ী হয়েছিলেন৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতো৷ ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ভোট হয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শক্তিপদ মাহাতো জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৮৫,০২৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৬,২৬৩৷ তৃতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীপতি মাহতো তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮,২১১৷
২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ফরওয়ার্ড ব্লকের বিন্দেশ্বর মাহাতো জয়পুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। কংগ্রেসের শান্তিরাম মাহাতোকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে কংগ্রেসের শান্তিরাম মাহাতো ফরওয়ার্ড ব্লকের বিন্দেশ্বর মাহাতোকে পরাজিত করেছিসেন। আবার ১৯৯১ ও ১৯৮৭ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের বিন্দেবাবু কংগ্রেসের শান্তিরাম মাহাতোকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের শান্তিরাম মাহাতো ফরওয়ার্ড ব্লকের হরিপদ মাহাতোকে পরাজিত করেছিলেন। কংগ্রেসের রামকৃষ্ণ মাহাতো ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির চক্রধর মাহাতোকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৬৭, ১৯৬৯, ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের রামকৃষ্ণ মাহাতো জয়ী হন। ১৯৬২ সালে লোক সেবক সংঘের অদ্বীতা মণ্ডল জয়ী হয়েছিলেন।