কল্যাণী বিধানসভা নির্বাচনে ৯৭,০২৬ ভোট পেয়ে জয়ী বিজেপির অম্বিকা রায়। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী অনিরুদ্ধ বিশ্বাস ৯৪,৮২০টি ভোট পেয়েছেন।
এই তফসিলি জাতি কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন অনিরুদ্ধ বিশ্বাস। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন অম্বিকা রায়। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের সবুজ দাস।
নদিয়া জেলার একটি শহর ও পৌর এলাকা হল কল্যাণী। এটি নদিয়া জেলার কল্যাণী মহকুমার প্রশাসনিক কেন্দ্রও। রাজধানী কলকাতা থেকে দূরত্ব ৫০ কিমি। কলকাতার পরে এটি একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের পরিকল্পনা ছিল কল্যাণী'কে দ্বিতীয় কলকাতা তৈরি করা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই স্থান ছিল একটি আমেরিকান বিমান ঘাঁটি। যার কিছু নিদর্শন এখনও কল্যাণী স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে ও কল্যাণী ঘোষপাড়া অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। সেই সময়ে এর নাম ছিল রুজভেল্ট নগর। পঞ্চাশের দশকের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে একটি আদর্শ পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। ১৯৫২ সালে কংগ্রেসের অধিবেশনও এই শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এই ঐতিহাসিক অধিবেশনের স্মৃতিস্বরূপ কল্যাণীর একটি রাস্তার নাম 'কংগ্রেস রোড' নামে চিহ্নিত।
ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, কল্যাণী (তফসিলি জাতি) বিধানসভা কেন্দ্রটি কল্যাণী পুরসভা, গয়েশপুর পুরসভা, চান্দুরিয়া-২, কাঁচরাপাড়া, মদনপুর-১, মদনপুর-২, সগুণা, সারাতি ও শিমুরালি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি চাকদহ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। কল্যাণী (তফসিলি জাতি) বিধানসভা কেন্দ্রটি ১৪ নম্বর বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের (তফসিলি জাতি) অন্তর্গত।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ডঃ রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের অলোকেশ দাসকে ২৬,০৯৫ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ডঃ রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৫,৭৯৫৷ দ্বিতীয় স্থানে সিপিএম প্রার্থী অলোকেশ দাসের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ৬৯,৭০০৷ ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ডা. রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের জ্যোৎস্না শিকদারকে পরাজিত করেছিলেন।