বিজেপি প্রার্থীর চলন্ত গাড়ির উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দু্ষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।বাইকে করে এসে বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে চার দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।
শনিবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটিতে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। শনিবার ভোট পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন কামারহাটির বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দোপাধ্যায়। বেলঘরিয়া ব্রিজের উপর দিয়ে নন্দননগর এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি।
অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই উল্টো দিক থেকে দু’টি বাইকে কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা অবস্থায় চারজন দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ির খুব কাছাকাছি চলে আসে। কিছু বুঝে উঠার আগেই চলন্ত গাড়ির কাচ ইটের ঘায়ে ভাঙার চেষ্ট তারা। ইটের ঘায়ে রাজুর গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। কাচের টুকরো ছিটকে বুকে—হাতে লাগায়, জখম হন তিনি। এমনকী, ভাঙা কাচের ভিতরে বোমা ছোঁড়ার চেষ্টাও করে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ রাজুবাবুর। তবে বোমাটি জানলার কাচে লেগে নীচে পড়ে যায়। তবে বোমাটি ফাটেনি বলেই দাবি রাজুর। তারপর ওই দুই দুষ্কৃতীই রাস্তায় পড়ে থাকা বোমাটি তুলে নিয়ে চলে যায় বলে দাবি রাজুর৷ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গোটা ঘটনাটি ঘটে যায়। হামলা চালানোর পর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
রাজুর অভিযোগ, তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে। বহিরাগতদের এনে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনাটি অস্বীকার করেছে। অবশ্য এই হামলার পরই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। যদিও সেই নিরাপত্তা নিতে অস্বীকার করেছেন বিজেপি প্রার্থী৷ তাঁর অভিযোগ, এতদিন ধরে বলার সত্ত্বেও তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। তাই এই নিরাপত্তা নিতে চাননি তিনি।
তাঁর অভিযোগ, ভোট প্রচারের শুরু থেকেই ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের পর্যবেক্ষকদের তিনি অভিযোগ করেছেন যেবহিরাগতদের এনে জড়ো করছে তৃণমূল৷ তাঁর পরেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রাজুর৷ তিনি বলেন, ‘হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল৷ এ ভাবে আমাকে আটকানো যাবে না৷’ হাতে চোট পেলেও নন্দননগরের ওই বুথে অবশ্য যান রাজু৷