এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন বিমলেন্দু সিনহা রায়। এই আসনে বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের প্রভাস মজুমদার।
ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ৭৭ নম্বর করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি করিমপুর-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, ঢোরাদহ-১, ঢোরাদহ-২, মুরুতিয়া, নটিডাঙা-১, নটিডাঙা-২ ও রহমতপুর গ্রামপঞ্চায়েতগুলি করিমপুর-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের সমরেন্দ্রনাথ ঘোষকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। মহুয়ার প্রাপ্ত ভোটসংখ্যা ছিল, ৯০,৯৮৯।আর সিপিএমের সমরেন্দ্রনাথ ঘোষের ভোটসংখ্যা ছিল ৭৫,০০০। এই নির্বাচনে জয়ের ব্যবধান ছিল ১৫,৯৮৯ ভোটের। ২০১১ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের ডা: রমেন সরকারকে পরাজিত করেছিলেন।
২০০৬ ও ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের প্রফুল্লকুমার ভৌমিক করিমপুর কেন্দ্র থেকে জেতেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অরবিন্দ মণ্ডল ও তৃণমূল কংগ্রেসের চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে পরাজিত করেছিলেন তিনি। ১৯৯৬ ও ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস কংগ্রেসের চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ ও ১৯৮২ সালেও চিত্তরঞ্জনবাবু কংগ্রেসের অরবিন্দ মণ্ডলকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে সিপিএমের সমরেন্দ্রনাথ সান্যাল কংগ্রেসের অরবিন্দ মণ্ডলকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের অরবিন্দ মণ্ডল এই আসনে জিতেছিলেন। ১৯৭১ সালে সিপিএমের সমরেন্দ্রনাথ সান্যাল এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ ও ১৯৬৭ সালে বাংলা কংগ্রেস ও কংগ্রেসের নালিনাক্ষা সান্যাল জয়ী হয়েছিলেন। তারও আগে ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের সমরজিৎ বন্দোপাধ্যায় এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে কেএমপিপি'র হরিপদ চট্টোপাধ্যায় করিমপুর আসনে জয়লাভ করেছিলেন।