এই আসনে বিজেপি প্রার্থী কমলাকান্ত হাঁসদা ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের স্বপনকুমার বেলথারিয়া পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ ভোট।
কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বপনকুমার বেলথারিয়া। বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন কমলাকান্ত হাঁসদা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের মল্লিকা মাহাতো।
১৯৫৬ সালে পূর্বতন বিহার রাজ্যের মানভূম জেলার সদর মহকুমা পুরুলিয়া জেলা নামে বাংলায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই থেকে এই জেলা এই রাজ্যের অঙ্গ। জেলার পূর্ব সীমান্তে পূর্ব বর্ধমান জেলা, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলা এবং অপর তিনদিকে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। কাশীপুর এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ভোট হয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী স্বপনকুমার বেলথারিয়া জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৮৭,৪৮৩৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী সুদিন কিস্কু৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৬৭,৯০৫৷ তৃতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী কমলাকান্ত হাঁসদা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১১,৪৮৫ হাজার৷ আগে এই কেন্দ্রটি বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল৷ বর্তমানে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রয়েছে। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতো৷
উল্লেখ্য, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ হেমব্রম কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের সুরেন্দ্রনাথ মাঝি কংগ্রেসের নন্দলাল সোরেনকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের অনিলবরণ মুর্মুকে, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের সুভাষচন্দ্র পাটারকে ও ১৯৭৭ সালে বিজেপির রামপদ মাঝিকে পরাজিত করেছিলেন তিনি।
১৯৭২ ও ১৯৭১ সালে কংগ্রেসের মদনমোহন মাহাতো ওই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে সিপিআইয়ের প্রবীরকুমার মল্লিক এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন।১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের এন.এস.দেও জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের বুধান মাঝি জয়ী হয়েছিলেন।১৯৫৭ সালে নির্দলের লেদু মাঝি এবং কংগ্রেসের বুধান মাঝি উভয়ই কাশীপুর যৌথ আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন হয়েছিল। সেইসময় কাশীপুর তথা রঘুনাথপুর একটি যৌথ আসন ছিল। ১৯৫১ সালে কংগ্রেসের বুধান মাঝি ও নির্দলের আনন্দপ্রসাদ চক্রবর্তী উভয়ই এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন।