তৃণমূল নেতা কুরবান শাহের খুনের মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসার পথে তাঁর আত্মীয়দের অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলেরই বিরুদ্ধে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে সাক্ষ্য দিতে আসার পর কুরবান শাহের আত্মীয় ও তাঁর গাড়ির চালককে তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমানের অনুগামীরা অপহরণ করে বলে অভিযোগ। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২ মার্চ জেল থেকে ছাড়া পেয়েও গ্রেফতার হন আনিসুর।
কুরবানের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ছিল মামলার তারিখ। সেজন্য কাগজপত্র নিয়ে গাড়িতে করে কলকাতায় যাচ্ছিলেন কুরবানের এক আত্মীয়। পথে মেচেদা বাইপাস থেকে তাঁকে অপহণর করে তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমানের অনুগামীরা।
২০১৯ সালের দুর্গাপুজোর মধ্যে পাঁশকুড়ায় খুন হন তৃণমূল নেতা কোরবান শাহ। দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে তাঁকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানকে। তার পর থেকে জেলবন্দি রয়েছেন আনিসুর।
গত ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আনিসুর রহমানকে জেল থেকে মুক্ত করানোর প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। এই মর্মে তমলুক আদালতে আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। গত ২ মার্চ সেই আবেদনে মঞ্জুরিও দিয়ে দেন তমলুক আদালতের বিচারক। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়ন আনিসুর।
ওদিকে ততক্ষণে কলকাতা হাইকোর্টে আনিসুরের মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চায় কুরবানের পরিবার। সেই আবেদনে সায় দিয়ে আনিসুরকে ফের গ্রেফতারির নির্দেশ দেন বিচারপতি। জেল থেকে মুক্তির দেড় ঘণ্টার মাথায় আনিসুরকে ফের গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। সেই মামলারই শুনানি ছিল শুক্রবার।