জঙ্গলমহলের এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা ৫০.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির পৃথ্বীশরঞ্জন কুয়ার পেয়েছেন ৪০.৮২ শতাংশ ভোট।
জঙ্গলমহলের একটি বহুচর্চিত কেন্দ্র হল কেশপুর। এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শিউলি সাহা। বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন পৃথ্বীশরঞ্জন কুয়ার। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের রামেশ্বর দলুই।
মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলাকে দু’ভাগে ভাগ করে এই জেলা স্থাপিত হয়। এই জেলায় তিনটি মহকুমা রয়েছে খড়্গপুর, মেদিনীপুর সদর ও ঘাটাল। কেশপুর এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৪৬,৫৭৯৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী রামেশ্বর দোলুই৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪৫,৪২৮৷ তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সিপিএম প্রার্থী রামেশ্বর দোলুইকে ১১১,০৫১ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের রামেশ্বর দোলুই তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের রজনীকান্ত দোলুইকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের রামেশ্বর দোলুই তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের আশিস প্রামাণিককে পরাজিত করেছিলেন।
২০০১ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের নন্দরানি দল তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের রজনীকান্ত দোলুইকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের নন্দরানি দল তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সন্ন্যাসী দোলুইকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ সালে ঝাড়খণ্ড পার্টির বলাইচন্দ্র পারিজাকে পরাজিত করেছিলেন নন্দরানি দল। ১৯৮২ ও ১৯৮৭ সালে সিপিআইএমের হিমাংশু কুমার কংগ্রেসের রজনীকান্ত দোলুইকে কেশপুর আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের রজনীকান্ত দোলুই সিপিআইএমের অজয়কুমার দোলুইকে পরাজিত করেছিলেন।
১৯৭১—৭২ সালে কংগ্রেসের রজনীকান্ত দোলুই এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেসের গঙ্গাপদ কুয়ার জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের রজনীকান্ত দোলুই জিতেছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের বঙ্কিম রায় এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে কেশপুর কেন্দ্রে কোনও আসন ছিল না।