এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন মুন্সি নাজবুল করিম। খানাকুল আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন সুশান্ত ঘোষ। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন আইএসএফের ফয়জল খান।
হুগলি জেলা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক জেলা। চুঁচুড়া শহরে এই জেলার সদর দফতর রয়েছে। হুগলি জেলা চারটি মহকুমায় বিভক্ত। চুঁচুড়া সদর, চন্দননগর, শ্রীরামপুর ও আরামবাগ। হুগলি জেলার বিধানসভা আসনগুলি হল - হরিপাল, তারকেশ্বর, পুরশুড়া, আরামবাগ (তফসিলি জাতি), গোঘাট (তফসিলি জাতি), খানাকুল, সিঙ্গুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া, বলাগড় (তফসিলি জাতি), পান্ডুয়া, সপ্তগ্রাম, ধনেখালি (তফসিলি জাতি), উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চাঁপাদানি, চণ্ডীতলা এবং জাঙ্গিপাড়া।
ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ২০২ নম্বর খানাকুল বিধানসভা কেন্দ্রটি খানাকুল-২ সিডি ব্লক, ঘোষপুর, খানাকুল-১, খানাকুল-২, কিশোরপুর-১, কিশোরপুর-২, পোলে-২, ঠাকুরানিচক-১ ও ঠাকুরানি চক-২গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি খানাকুল-১ সিডি ব্লকের অন্তর্গত। খানাকুল বিধানসভা কেন্দ্রটি ২৯ নম্বর আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র(তফসিলি জাতি)’র অন্তর্গত। ৬ এপ্রিল খানাকুলে ভোটগ্রহণ।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইকবাল আহমেদ জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ছিল ১০৬,৮৭৮৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী ইসলাম আলি খান৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬৩,৩৯১৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইকবাল আহমেদ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী ইসলাম আলি খানকে ৪৩,৪৮৭ ভোটে পরাজিত করেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ইকবাল আহমেদ সিপিআইএমের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুভাষ পারুইকে পরাজিত করেছিলেন।