১০.৩০- এখনও পর্যন্ত গণনায় খণ্ডঘোষে এগিয়ে তৃণমূলের নবীন চন্দ্র বাগ। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপির বিজন মণ্ডল।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২০৮৬৬ ভোটে এগিয়ে নবীন বাগ। জয় কার্যত সময়ের অপেক্ষা। সেই মার্জিনেই জয় হয়েছে নবীনের।
এই তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন নবীনচন্দ্র বাগ। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন বিজন মণ্ডল। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের অসীমা রায়।
২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল বর্ধমান জেলা বিভক্ত হয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হয়।পূর্ব বর্ধমান মূলত কৃষি প্রধান জেলা। একে পশ্চিম বঙ্গের শস্যভাণ্ডার বলা হয়। জেলার বৃহত্তম শহর বর্ধমান। ধান এই জেলার প্রধান ফসল। এছাড়া পাট, আলু, পেঁয়াজ, আখ হয়। খণ্ডঘোষ বিধানসভা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্রটি খণ্ডঘোষ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ও আদ্রা, ভুড়ি, গোহগ্রাম, খানো, মসজিদপুর, শঙ্কো এবং সাতিনদি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি গলসি-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলির অন্তর্গত। খণ্ডঘোষ বিধানসভা কেন্দ্রটি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে জেতেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নবীনচন্দ্র বাগ। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মোট ভোটারদের শতাংশ খণ্ডঘোষ বিধানসভা কেন্দ্রে ছিল ৮৯ শতাংশ। ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নবীনচন্দ্র বাগ জয়লাভ করেছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের অসীমা রায়কে পরাজিত করেছিলেন। জয়ের ব্যবধান ছিল ৩,২০২ ভোটের। ২০১১ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের নবীনচন্দ্র বাগ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের অলোককুমার মাঝিকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন।
২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের প্রশান্ত মাঝি খণ্ডঘোষ বিধানসভা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের বিশ্বনাথ রায়কে পরাজিত করেছিলেন প্রশান্ত। ২০০১ সালে সিপিআইএমের জ্যোৎস্না সিংহ তৃণমূল কংগ্রেসের বংশীবদন রায়কে পরাজিত করেছিলেন।১৯৯৬ সালে সিপিআইএমের শিবপ্রসাদ দলুই কংগ্রেসের বাসুদেব মণ্ডল, ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের শঙ্করনাথ মাঝি ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের প্রমথ ধীবরকে পরাজিত করেছিলেন।
১৯৮২ ও ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের পূর্ণচন্দ্র মালিক কংগ্রেসের মনোরঞ্জন প্রামাণিককে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের মনোরঞ্জন প্রামাণিক এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে সিপিআইএমের পূর্ণচন্দ্র মালিক জিতেছিলেন। ১৯৬৯ সালে সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির গোবর্ধন পাকরায় ওই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। তার আগে ১৯৬৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের পি. ধীবর জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের জহরলাল বন্দোপাধ্যায় এই আসনে জেতেন। ১৯৫৭ সালে খণ্ডঘোষ কেন্দ্রে আসন ছিল না।