এই বিধানসভা আসনটি তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। খেজুরি বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন পার্থপ্রতিম দাস। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু প্রামাণিক। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের হিমাংশু দাস।
মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলার উত্তরে পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া রয়েছে। পূর্বে হুগলি নদী ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। আরও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ওড়িশা অবস্থিত। খেজুরি এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফায় খেজুরিতে ভোট হচ্ছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী রণজিৎ মণ্ডল৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১৩৬,০৯৯৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেসের অসীমকুমার মণ্ডল৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬১,২১৪৷ কংগ্রেসের অসীমকুমার মণ্ডলকে ৪২,৪৮৫ ভোটে পরাজিত করেছিলেন রণজিৎ।
লাইভ : বাংলায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণ
২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ডব্লুবিএসপি'র স্বদেশ পাত্র খেঁজুরি (তফসিলি জাতি) কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থপ্রতিম দাসকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালে ডব্লুবিএসপি'র সুনির্মল পাইক তৃণমূল কংগ্রেসের রামচন্দ্র মণ্ডলকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমএর রামচন্দ্র মণ্ডল কংগ্রেস প্রার্থী সুনির্মল পাইককে পরাজিত করেছিলেন। তার আগে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সুনির্মল কংগ্রেসের শান্তিরাম দাসকে পরাজিত করেন।
১৯৮২ ও ১৯৮৭ সালে তৎকালীন নির্দল প্রার্থী সুনির্মল পাইক কংগ্রেসের সুশান্ত মণ্ডলকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে সুনির্মল ছিলেন জনতা পার্টিতে। সেই বছর তিনি সিপিআইএমের সুনিল শিটকে পরাজিত করেছিলেন। খেঁজুরি আসনে ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের বিমল পাইক জয়ী হয়েছিলেন।১৯৭১ সালে সিপিআইএমের জগদীশচন্দ্র দাস এই আসনে জয়লাভ করেছিলেন। ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেসের পরেশ দাস জিতেছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের বিমল পাইক এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের অবন্তীকুমার দাস খেঁজুরি আসনে জয়ী হয়েছিলেন। তবে ১৯৫৭ সালে খেঁজুরি কেন্দ্রটি ছিল না। দেশের প্রথম নির্বাচনে যৌথ আসন ছিল। কংগ্রেসের কৌস্তভকান্তি করণ ও আভা মাইতি উভয়ই যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন।