বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন 2021 > কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র ২০২১ : ভোটের প্রার্থী, অতীতের ফলাফল - একনজরে সব তথ্য

কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র ২০২১ : ভোটের প্রার্থী, অতীতের ফলাফল - একনজরে সব তথ্য

২২ এপ্রিল কৃষ্ণনগর দক্ষিণে ভোটগ্রহণ। (হিন্দুস্তান টাইমস)

২২ এপ্রিল কৃষ্ণনগর দক্ষিণে ভোটগ্রহণ।

এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন উজ্জ্বল বিশ্বাস। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন মহাদেব সরকার। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের সুমিত বিশ্বাস।

কৃষ্ণনগর এরাজ্যের নদিয়া জেলার সদর শহর ও পুরসভা এলাকা। কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল ও মূর্তি পশ্চিমবঙ্গের শ্রেষ্ঠ কুটির শিল্পগুলির অন্যতম। এটি বর্তমানে নদিয়া জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ও প্রাচীন বাংলার অন্যতম শিক্ষা ও সংস্কৃতির শহর বলে পরিচিত।

সংস্কৃতি ও বিদ্যোৎসাহী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নামানুসারে এই স্থান কৃষ্ণনগর নামে খ্যাত। অতীতে এই জায়গার নাম ছিল রেউই। নদিয়া রাজপরিবারের শ্রেষ্ঠ পুরুষ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজধানী ছিল কৃষ্ণনগর। তিনি বিদ্বানসংস্কৃত ও ফার্সিভাষায় শিক্ষিত, সংগীতরসিক ছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ছিলেন শাক্তপদাবলিকার রামপ্রসাদ সেন, অন্নদামঙ্গল কাব্য প্রণেতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর, হাস্যরসিক গোপাল ভাঁড় প্রমুখ বাংলার প্রবাদপ্রতিম গুণী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষক। তার চেষ্টায় এই স্থানে গুণী ব্যক্তিদের সমাবেশ হয় এবং কৃষ্ণনগর বাংলার সংস্কৃতিচর্চার পীঠস্থান হয়ে ওঠে। ১৮৫৬ সালে সারস্বত চর্চ্চার কেন্দ্র রূপে গড়ে কৃষ্ণনগর সাধারন গ্রন্থাগার। কৃষ্ণনগরের জগদ্বিখ্যাত মৃৎশিল্পের সূত্রপাত ও জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন তাঁরই উদ্যোগে ঘটেছিল। কৃষ্ণনগর পৌরসভা ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, ৮৫ নম্বর কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রটি ভাতজঙলা, চকদিলনগর, দায়পাড়া, দিগনগর এবং রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কৃষ্ণনগর-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং কৃষ্ণনগর-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। 

২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের উজ্জ্বল বিশ্বাস তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের রমা বিশ্বাসকে পরাজিত করেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত কৃষ্ণনগরে দু’‌টি বিধানসভা কেন্দ্র ছিল - কৃষ্ণনগর পূর্ব ও কৃষ্ণনগর পশ্চিম।

২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের সুবিনয় ঘোষ কৃষ্ণনগর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের ডা: রমেন্দ্রনাথ সরকারকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস, ১৯৯৬ ও ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের শিবদাস মুখোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ২০০১ ও ১৯৯৬ সালে সিপিআইএমের রাধানাথ বিশ্বাস ও ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের সাধন চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন শিবদাস। ১৯৮৭ সালে সিপিআইএমের সাধন চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসের শিবদাস মুখোপাধ্যায় ও ১৯৮২ সালে জনতা পার্টির কাশীকান্ত মৈত্রকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে জনতাপার্টির কাশীকান্ত মৈত্র সিপিআইএমের সাধন চট্টোপাধ্যায়কে এই কেন্দ্র থেকে পরাজিত করেছিলেন।

আবার ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেই সিপিআইএমের অশোক বন্দোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের উজ্জ্বল বিশ্বাসকে পরাজিত করেছিলেন তিনি। ২০০১ সালে সিপিআইএমের সুনীলকুমার ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের উজ্জ্বল বিশ্বাস, ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায় ও ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের উজ্জ্বল বিশ্বাসকে পরাজিত করেছিলেন । ১৯৮৭ ও ১৯৮২ সালে সিপিআইএমের অমৃতেন্দু মুখোপাধ্যায় কংগ্রেসের গৌরীশংকর দত্ত ও ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির মহাদেব ভট্টাচার্যকে এই কেন্দ্রে পরাজিত করেছিলেন।

ভোটযুদ্ধ খবর

Latest News

'ভেবেছিলাম সমস্যা হবে...', সপ্তর্ষিকে বিয়ে করার অনুমতি সোহিনীকে কে প্রথম দেন? বাংলায় নতুন আটটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন, চিকিৎসা জগতে বড় সুখবর তোমাকে প্রার্থী করতে পারলাম না, বরাহনগরের কাউন্সিলরকে ফোন মমতার কংগ্রেস থেকে মোদী শিবিরে গোবিন্দা, শিবসেনায় যোগ দিলেন অভিনেতা, লড়তে পারেন ভোটে এই শনি-রবিবার খোলা থাকছে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক! দেখুন তালিকা দক্ষিণে আসন সমঝোতা নিয়ে জোর চেষ্টা করছে সিপিএম, কংগ্রেসের দাবি বাড়ছে 'কত কী সয়ে যেতে হয়...',ভালোবাসায় সিলমোহর! শোভনের বুকে মাথা রাখলেন সোহিনী কংগ্রেসে যোগদান করে INDIA জোটকে সমর্থন করলেন অজয় এডওয়ার্ড লাইমলাইট থেকে দূরে থাকেন, জানেন এখন কোথায় আছেন অক্ষয় খান্না, কী করেন তিনি শক্তিশালী সৈন্যরাই সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় বসে- MI প্লেয়ারদের তাতালেন হার্দিক

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.