ভোটের মুখে দলবদলের বাজার যখন গরম তখনই রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ছেড়ে দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা ছেড়ে দেন তিনি। তবে তাঁর দাবি, তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে তাঁকে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফে কৃষ্ণেন্দুবাবুর নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখবর পেয়ে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াকে ফোন করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কৃষ্ণেন্দুবাবু। এর পর সমস্ত নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে নিতে বলেন তিনি।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদা সফরে বেশ সক্রিয় দেখা গিয়েছিল কৃষ্ণেন্দুবাবুকে। তবে ইংরেজবাজারে বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলার ঘটনায় দলের সঙ্গে তাঁর মন কষাকষি চলছে। নীহারবাবুর দাবি, হামলা চালিয়েছে কৃষ্ণেন্দুর দলবল। এমনকী বেশ কয়েকজন কৃষ্ণেন্দু অনুগামীর বিরুদ্ধে ওই মামলায় জামিন অযোগ্য ধারা দিয়েছে পুলিশ।
জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের নিরাপত্তা পান কৃষ্ণেন্দুবাবু। তখন তিনি ছিলেন কংগ্রেসে। আর মালদা জেলার রাজনীতি তখন আবর্তিত হতো গনিখান চৌধুরীকে কেন্দ্র করে। তার পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। ২০১১-র পর তিনি রাজ্যের মন্ত্রী হলে নিরাপত্তা বাড়ে। কিন্তু ২০১৬-য় হেরে যান তিনি। তার পর থেকে রাজনীতিতে তাঁর পতন শুরু হয়।