কুলপি বিধানসভা নির্বাচনে ৯৬,৫৭৭ ভোট পেয়ে জয়ী তৃণমূলের যোগরঞ্জন হালদার। পরাজিত বিজেপি প্রার্থী প্রণব মালিক।
এই বিধানসভা আসনে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন যোগরঞ্জন হালদার। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন প্রণব মালিক। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন আইএসএফের সিরাজউদ্দিন গাজি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলা। জেলার সদর আলিপুরে। বাসন্তী এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই জেলার উত্তরদিকে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব দিকে বাংলাদেশ, পশ্চিম দিকে হুগলি নদী ও দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। কুলপি এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী যোগরঞ্জন হালদার জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮৪,০৩৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী রেজাউল হক খান৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭২,৫৮১৷ যোগরঞ্জন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী রেজাউল হক খানকে ১১,৪৫৫ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগরঞ্জন হালদার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের শকুন্তলা পাইককে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের শকুন্তলা পাইক কুলপি (তফসিলি জাতি) কেন্দ্রে জিতেছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের যোগরঞ্জন হালদারকে পরাজিত করেছিলেন শকুন্তলা। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের যোগরঞ্জন হালদার সিপিআইএমের শকুন্তলা পাইককে পরাজিত করেছিলেন। আবার ১৯৯৬ সালে শকুন্তলা কংগ্রেসের কীর্তিবাস সর্দারকে ওই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ সালে সিপিআইএমের কৃষ্ণধন হালদার কংগ্রেসের যোগরঞ্জন হালদারকে কুলপি আসনে হারিয়ে দিয়েছিলেন। তারও আগে ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের কীর্তিবাস সর্দার এবং ১৯৮২ ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের সন্তোষকুমার মণ্ডলকে পরাজিত করেছিলেন।
১৯৭২ সালে কংগ্রেসের সন্তোষকুমার মণ্ডল এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে সিপিআইএমের মুকুন্দরাম মণ্ডল জিতেছিলেন। ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেসের মুরারিমোহন হালদার এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের এন.কে. হালদার জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে নির্দল প্রার্থী হিসেবে হৃষিকেশ হালদার এই আসনে জিতেছিলেন। আবার ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের হানসদওয়াজ কুলপি আসনে জয়ী হয়েছিলেন। দেশের প্রথম নির্বাচনে কুলপি একটি যৌথ আসন ছিল। কেএমপিপির নলিনীকান্ত হালদার ও ভারতীয় জনসংঘের প্রাণকৃষ্ণকুমার উভয়েই কুলপির এই যৌথ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।