ভোটের মুখে চাকরিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল আরেক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। এবার অভিযুক্ত মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে বিধায়ক কোটার চাকরি অন্য জেলায় বিক্রির অভিযোগে লিফলেট ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপি চক্রান্ত করে তাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের একাধিক এলাকায় ছড়িয়েছে একটি লিফলেট। তাতে দাবি করা হয়েছে, ২ নিরাপত্তারক্ষীকে দিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে নদিয়া – মুর্শিদাবাদে বিধায়ক কোটার চাকরি বিক্রি করেছেন বিধায়ক খলিলুর রহমান।
লিফলেটের বয়ানে লেখা হয়েচে, আমডাঙায় কি শিক্ষিত ছেলে নেই? শেষ ১০ বছরে কেন বিধায়কের নিজের দুই গার্ডকে দিয়ে নিজের কোটার চাকরি নদিয়া-মুর্শিদাবাদে চড়া দামে বিক্রি করেছে? বিধায়ককে ভোট দেওয়া হয়েছিল আমডাঙার যুব সমাজকে বঞ্চিত করার জন্য?" নীচে লেখা – “আমডাঙার মানুষ আর তোমার সাথে নেই। আমডাঙার মানুষ তৃণমূলের বিকল্প পেয়ে গেছে। এই বিধায়ক রফিকুরকে আমডাঙার মানুষ আর চায় না। তবে লিফলেট কারা প্রকাশ করেছে তার কোনও উল্লেখ নেই সেখানে।
প্রতিক্রিয়ায় বিধায়ক জানিয়েছেন, ভোটের আগে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে নেমেছে বিরোধীরা। এ কাজ তাদেরই। দলে কিছু বিজেপির লোক রয়েছে। তাদের মদতে একাজ হয়ে থাকতে পারে।
স্থানীয় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, ‘তৃণমূল নেতারা যে দুর্নীতি করেছে তা কারও অজানা নয়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সে সব ফাঁস করে দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ কুণ্ডুরা। কোন মুখে তার পরও বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল?’