ফের রেন্দ্রীয় সরকার এবং নির্বচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ভার্চুয়াল সভা থেকে করোনা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সব নির্দেশই আসে রাত ৮টায় না হলে রাত ১০টায়। প্রধানমন্ত্রী সভা বাতিল করার পরই নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হল। ততক্ষণ করেনি। কারণ প্রধানমন্ত্রীর সভা ছিল। এই নির্দেশ তো আগেও দিতে পারত নির্বাচন কমিশন। আর রাতে দিল কেন? আগে দিলে তো আমি আরও দুটো সভা করতে পারতাম।’ সুতরাং নির্বাচন কমিশন যে বিজেপির কথায় চলছে তা বোঝাতেই এমন মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো বলে মনে করা হচ্ছে।
এরপর তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের চূড়ান্ত গাফিলতির জন্যই এই হাল হয়েছে। আজ করোনা নিয়ে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে আমি আমন্ত্রিত নই। তাঁদের কাছে কোনও বিশেষজ্ঞের রিপোর্ট ছিল না। আগেও প্রধানমন্ত্রী অনেক বৈঠক করেছেন। সেখানে কোনওদিন অক্সিজেন নিয়ে কোনও কথা বলেননি। অথচ একবছর আগে থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অক্সিজেনের অভাব হতে পারে বলে রিপোর্ট দিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি যখন চূড়ান্ত খারাপের দিকে যাচ্ছে তখন বৈঠকে বসেছেন।’
তাঁর অভিযোগ, বাইরে থেকে এখানে যারা এসেছে তাদের কারও পরীক্ষা হয়েছে। তারা যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না তার গ্যারান্টি কে দেবে? এছাড়া তো বিজেপির মেজ, সেজ, ছোট সব ধরনের নেতারাই এখানে সভা করতে আসছেন। শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা ছাড়া আর কোনও কাজই হচ্ছে না। সেটাই এখানে হয়েছে। আট দফার ভোট পাঁচ দফায় করলে কি হতো? প্রশ্ন তোলেন মমতা।
এরপর তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, আসানসোলে আমরা করিনি এমন কোনও কাজ নেই। রানিগঞ্জে ২৯ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। অন্ডাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হচ্ছে। আপনারা একটা করে ভোট দিলে তবেই করোনা প্রতিরোধের কাজ আমরা করতে পারব। সরকার গঠন করে পরিষেবা দিতে পারব। আসানসোল একটা পুরো ভারতবর্ষ। এখানে সর্বধর্ম সমন্বয় রয়েছে। তাই সবাইকে এককাট্টা হয়ে ভোট দিতে হবে। বিজেপি বলছে, ভোট দেওয়ার কোনও দরকার নেই। কিন্তু সেটা শুনবেন না। কারণ ভোট না দিলে ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দেবে। এনআরসি–এনপিআর করে বাইরে পাঠিয়ে দেবে। এই সরকার পারে না এমন কাজ নেই। তাই আমাদের ভোট দিলে আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দিতে পারব। যে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ–কে বাঁচিয়ে গিয়েছিলাম। আজ বিজেপি সরকার তা বন্ধ করে দিতে চলেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।