শুধু নামটা নিলেন না। তাছাড়া নন্দীগ্রামে ভোটের চারদিন আগে শিশির এবং শুভেন্দু অধিকারীকে একচুলও জমি ছাড়লেন না তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া ভাষায় নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অধিকারীদের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন। অভিযোগ করলেন, ‘বাপ-ব্যাটার’ অনুমতি ছাড়া আন্দোলনের সময় নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকতে পারত না।
গত ১০ মার্চ বিরুলিয়া বাজারের কাছে চোট পাওয়ার পর রবিবার প্রথম নন্দীগ্রামে আসেন মমতা। রেয়াপাড়ার শিবমন্দিরে দোলমেলার সমাবেশে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের দিনগুলির কথা তুলে ধরেন। জানান, কীভাবে কেটেছিল সেই দিনগুলি। সেই রেশ ধরেই মমতা বলেন, ‘এখনও বিশ্বাস করি, পরে শুনেছিলাম, এই বাপ-ব্যাটার (পড়ুন শুভেন্দু এবং শিশির) পারমিশন (অনুমতি) ছাড়া সেদিন পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। আমিও একটা গভর্নমেন্ট (সরকার) চালাই। আমিও খোঁজখবর পরে নিয়েছি।’
শুধু তাই নয়, নাম না করে মমতা দাবি করেন, শুভেন্দুরা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় ‘ইগোর লড়াই’ চালাচ্ছিলেন। কী হয়েছিল ঠিক, সে কথাও জানান। মমতা দাবি করেন, ‘দেখুন আমি ভদ্রলোক বলে কিছু বলিনি। আমি মিটিং (সভা) করছি, মিটিংয়ের মধ্যে থেকে বাবু রেগে চলে গেল। কী তার নাকি পছন্দ হয়নি। আমি দেখলাম, একটা আন্দোলন চলছে, লোক কী ভাববে, একটা আন্দোলন চলছে, এত ইগোর লড়াই! যাক গে, আমি সহ্য করে গিয়েছি।’
সেখানে অবশ্য মমতার আক্রমণ থামেনি। বিরুলিয়ার জনসভা থেকে আরও একধাপ এগিয়ে মমতা বলেন, ‘নন্দীগ্রামের সেদিনের ঘটনায় পুলিশ ঢুকবে, মার্চ করবে, গন্ডগোল হবে, এটা সেদিন কি সেই গদ্দার জানতেন না? কতবার সেদিন তাঁদের বুদ্ধদেববাবুর (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) সঙ্গে কথা হয়েছিল?’