বৈষম্যের অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন। এবার ভোট–ষষ্ঠীতে ঘোষণা করলেন সাম্য–নীতির। রাজ্যের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের বিনা পয়সায় টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের সভা থেকে বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সেই বক্তব্যকে সমর্থন করেন উপস্থিত জনতা–জনার্দন। কিছুদিন ধরেই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের দড়ি টানাটানি চলছিল। এবার সেই দড়ি টানাটানিতে ইতি টেনে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার রাজ্যের মানুষকে বিনা পয়সায় টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মমতা। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে সংক্ষিপ্ত নির্বাচনী জনসভায় করোনা নিয়ে মোদী সরকারকে কার্যত তুলোধনা করেন তিনি।
বুধবারই সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারগুলিকে কোভিশিল্ডের প্রতিটি ডোজ ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজের দাম ধার্য করা হয়েছে ৬০০ টাকা। যদিও কেন্দ্র প্রতি ডোজ পাবে মাত্র ১৫০ টাকায়। এই বৈষম্য নিয়েই সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেরামের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী দু’মাস আমাদের উৎপাদনের ৫০ শতাংশ টিকা কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হবে। আর বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলি পাবে।
এই ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করে মমতা বলেন, ‘দিল্লি যদি ৬ মাস আগে থেকে টিকা দিত তাহলে আর কারও করোনা হতো না। আমি নরেন্দ্র মোদীকে বলেছিলাম আমাকে ভ্যাকসিন দিন আমি বিনা পয়সায় সবাইকে দেব। এখন বলছেন ভ্যাকসিন নিজেরা জোগাড় করে নিন। পিএম কেয়ারের টাকা দিয়েই দেশের মানুষকে বিনা পয়সায় টিকা দেওয়া যেত। কোথায় গেল সেই টাকা? পরিস্থিতি যদি খারাপের দিকে যায় তাহলে রাজ্যের মানুষকে বিনা পয়সায় টিকা দেওয়া হবে।’
সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির ছেলের মৃত্যু নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন মমতা। রাজ্য সেই সঙ্গে সবাইকে সতর্ক থেকে মাস্ক পরে ভোট দিতে অনুরোধ করেছেন। কারণ ভোট না দিলে ভোটার তালিকা থাকে নাম বাদ দিয়ে দেবে বিজেপি। এনআরসি, এনপিআর করার সুযোগ পেয়ে যাবে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস যে কোনও মূল্যে এনআরসির বিরোধিতা করবে বলে আরও একবার জানিয়ে দেন তিনি।