আগেরবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে বলেছিলেন। এবার থানা ঘেরাওয়ের নিদান দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে যথারীতি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পালটা দিয়েছে বিজেপি।
শনিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে সাংবাদিনক বৈঠকে কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। অভিযোগ করেন, ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলকর্মীদের গ্রেফতার বা আটক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি কাগজ তুলে ধরে মমতা দাবি করেন, তাঁর কাছে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে তিন পর্যবেক্ষকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আছে। তারপর থানা ঘেরাওয়ের নিদান করেন।
মমতা বলেন, ‘আমি বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ থেকে শুরু করে যাদের যেখানে ভোট আছে, সমস্ত জায়গায় সবাইকে অ্যালার্ট করব, এখন থেকে সতর্কতা নিন। একদিকে, কোভিডের লড়াই, অন্যদিকে ইলেকশন কমিশনের লোকেরা বিজেপির হয়ে যাতে ভোট করতে না পারে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যদি কাউকে বেআইনিভাবে আটকে রাখে পুলিশ, তাহলে তাঁর ছেলে-মেয়েরা রাতের বেলা থানায় গিয়ে বসে থাকবেন, থানা ঘেরাও করবেন এবং বলবেন বেআইনিভাবে আটক কেন করা হয়েছে, ব্যাখ্যা দাও এবং দরকার হলে কোর্টের কাছেও যেতে হবে।’
মমতার সেই নিদানের পালটা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুরে এসে থানা ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়েছেন। উনি নিজেকে বাংলার মেয়ে বলেন। কিন্তু এমন সংস্কার বাংলার মেয়ে অথবা বাংলার পরিবারে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইন ভঙ্গ করেছেন। আসলে উনি জানেন এই নির্বাচনে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। দিদি কেন বোলপুরে এসে বললেন থানা ঘেরাও করতে?'