প্রার্থী হিসাবে নন্দীগ্রামে গিয়ে প্রথম সভায় প্রতিদ্বন্দী শুভেন্দু অধিকারীর নামই নিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং নাম না করে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুললেন তিনি। সঙ্গে বললেন, ৭০ – ৩০ ভাগাভাগি নয়। আমরাই ১০০ শতাংশ। নন্দীগ্রামের মানুষের মন জিততে এদিন তিনি বলেন, ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম।
এদিন নামে কর্মিসভা হলেও মমতার সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানেই মমতা জানতে চান, কাল কি আমি মনোনয়ন পেশ করবো? সমস্বরে জবাব আসে হ্যাঁ। এর পর নন্দীগ্রাম আন্দোলনে নিজের অবদান স্মরণ করান মমতা। দাবি করেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় তাঁর প্রাণনাশের চক্রান্ত হয়েছিল। তাঁর গাড়িতে গুলি লেগেছিল বলেও দাবি করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ভুলতে পারি সবার নাম ভুলবো না কো নন্দীগ্রাম।
মমতাকে বহিরাগত বলে বিজেপি যে প্রচার শুরু করেছে তারও সমালোচনা করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ‘আমি তো বাংলার মেয়ে। আমাকে বহিরাগত বলছে। আর যারা দিল্লি থেকে আসছে তারা বহিরাগত নয়। বহিরাগত হলে আমি মুখ্যমন্ত্রী হলাম কী করে?’
নিজেরে হিন্দু ঘরের মেয়ে বলে দাবি করে মমতা বলেন, ‘আমার সঙ্গে হিন্দু কার্ড খেলতে যাবেন না। হিন্দুধর্ম মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছে।’ মমতার দাবি, এধাকিক দেবদেবীর মন্ত্র জানা রয়েছে তাঁর। উলটো দিকে কয়েকটা মুখস্ত করে এসে বলছে বিরোধীরা। এর পরই খেলা হবে স্লোগান তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ভোটে জিতে মডেল নন্দীগ্রাম তৈরি করবো। নন্দীগ্রামে তৈরি হবে বিশ্ববিদ্যালয়। সঙ্গে হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের মধ্যে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
মমতা জানান, নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় ১ বছরের জন্য ২টি ঘর ভাড়া নিয়েছেন তিনি। বুধবার সেখান থেকেই মনোনয়ন পেশ করতে যাবেন তিনি। তার পর প্রতি তিন মাস অন্তর আসবেন সেখানে। বছর খানেকের মধ্যে একটা কুড়ে ঘর বানিয়ে নেবেন বলেও জানান তিনি।
মমতা বলেন, নন্দীগ্রামে নির্বাচন ১ এপ্রিল। সেদিন ওদের এপ্রিল ফুল করে দিন। সঙ্গে বলেন, অনেকে হুমকি দিচ্ছে। ২ মের পর দেখবো এই জোর কোথায় থাকে?
এদিন তৃণমূলনেত্রী জানিয়েছেন, মনোনয়ন পেশ করে কলকাতায় ফিরবেন তিনি। কারণ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহার। সঙ্গে তিনি নন্দীগ্রামের সমস্ত ধর্মের ধর্মগুরুদের কাছে সাহায্য চান। নন্দীগ্রাম লাগোয়া কেন্দ্রগুলিতেও তৃণমূল প্রার্থীদের জেতানোর আহ্বান জানান তিনি।