নন্দীগ্রামের পর পুরুলিয়াতেও বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাড়লেন না বাম-কংগ্রেসকেও। এদিন পুরুলিয়ায় দাঁড়িয়ে উপস্থিত জনতাকে মমতা বোঝানোর চেষ্টা করেন মাওবাদীদের থেকেও ভায়নক বিজেপি। সঙ্গে মনে করান তাঁর সরকারের কৃতিত্বও।
এদিন পুরুলিয়ার সভায় শুরুতেই বহিরাগত প্রসঙ্গে সরব হন মমতা। মনে করান, কীভাবে পুরুলিয়াবাসী তাদের ওপর অন্য ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। বলেন, পুরুলিয়াতেই প্রথম ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। বিজেপি এলে রূপসী বাংলা থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর পরই বিজেপির বিপদ বোঝানোর চেষ্টা করেন মমতা। বলেন, ‘একসময় আপনারা মাওবাদীদের ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে পারতেন না। এই বিজেপি মাওবাদীদের থেকেও খারাপ। এরা ভোটের আগে ভাল ভাল খেতে দেবে। বাড়ি এসে প্রতিশ্রুতি দেবে। আর ভোটের পরে দেবে ক্যাচকলা।’
নিজের দাবির স্বপক্ষে মমতা বলেন, গত ভোটের আগে বলেছিল প্রত্যেক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবে। কেউ পেয়েছেন? বিজেপি নেতারা ভোট চাইতে বাড়ি এলে তাড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিন সায়নী ঘোষের মন্তব্য নিয়ে বিতর্কেও মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সায়নী ফিল্মে কাজ করে। তাকে ধমক দিচ্ছে বিজেপি। বাংলায় ধমকালে মানুষ মুখটা লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে বন্ধ করে দেবে। সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাও, টালিগঞ্জের গায়ে হাত দিয়ে দেখাও।’ তথাগত রায়কে মমতার কটাক্ষ, ‘বয়স হয়ে গিয়েছে তবু ভিমরতি যায় না। নাতনির বয়সী মেয়েকে হুমকি দিচ্ছে’।
এদিন শুভেন্দু-সহ দলত্যাগীদের ভোলেননি মমতা। বলেন, ‘যারা চলে যাচ্ছে, বুঝবেন আপদ বিদায় হচ্ছে। থাকলেই জ্বালাতো।’ এদিনও ‘লোভী, ভোগী, ত্যাগী’ তত্ত্ব উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনও মমতার সভায় বিক্ষোভ হয়। স্থায়ীকরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি ও সিপিএম চক্রান্ত করে এই কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পরে যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবিসনদ সংগ্রহের নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদের।