বিজেপিকে ঠেকাতে সংখ্যালঘুদের সংঘবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মোদী-শাহের বিরুদ্ধে সেই লড়াইতে মমতার পাশেই দাঁড়ালেন রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ৭৪টি আসনে সংখ্যালঘু ভোটারদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ বা তার বেশি। সেই আসনগুলির মধ্যে ৬৯টিতে জয় তৃণমূলের।
কংগ্রেস-সিপিএম-কে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে ভোটারদের মনে দাগ না কাটতে পারাতেই এই পরিস্থিতি। এদিকে উল্লেখিত ৭৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ২টি আসন। ভাঙড় আসনটি পেয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। মুর্শিদাবাদের দু'টি আসনে ভোট হওয়া বাকি।
এদিকে রাজ্যের ৫৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট ২৫ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে। এই ৫৭টি আসনের মধ্যে ৪৬টি জিতেছে তৃণমূল। ১১টি আসন দখল করেছে বিজেপি। মালদহ, কোচবিহার-সহ কয়েকটি জেলায় এই আসনগুলি রয়েছে। এর থেকে ধর্মীয় মেরুকরণের সমীকরণ স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, মুর্শইদাবাদ রাজ্য রাজনীতিতে অধীর-গড় হিসেবে বিখ্যাত। সেই জেলাতেও এবার শূন্য হাতে ফিরতে হল কংগ্রেসকে। তৃণমূলের কাছে পর্যদুস্ত হতে হল অধীরকে। এদিকে মালদা এক সময় গণি খানের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের নির্বাচনের পর সেই পরিচয় বদলে গেল। এতদিন মালদা থেকে খালি হাতে ফিরতে হত তৃণমূলকে। কিন্তু এবার বিজেপি বিরোধিতার হাওয়া তুলে এই জেলা থেকে তারাই বেশি আসন পেল। গতবারের চেয়ে আসন বাড়ল বিজেপিরও। আর শূন্য হাতে ফিরতে হল কংগ্রেসকে। মূলত এই দুই জেলায় কংগ্রেসের ভরাডুবি মিলিয়ে দিয়েছে মমতার অঙ্ককে। এবং বিজেপিকে ঠেকাতে সংখ্যালঘুরাও কংগ্রেস ছেড়ে ভরসা রেখেছে তৃণমূলের উপর।