সকাল থেকে নজর রাখছিলেন। কিন্তু দুপুরে যেই খবর পেলেন বিজেপি বাড়াবাড়ি করছে তখন নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার অস্থায়ী বাসস্থান থেকে বেরিয়ে পড়লেন তিনি। ঠা ঠা রোদ্দুরে বুথের হাল–হকিকত সরেজমিনে দেখতে এলেন তিনি। তার মধ্যেই তিনি খবর পেলেন, বুথে ভয়ে বসতে পারছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের পোলিং এজেন্ট। তখনই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রওনা দিলেন সংশ্লিষ্ট বুথের উদ্দেশ্যে। যা অবাক করে দিয়েছে সবাইকে ভোট দ্বিতীয়ার বাজারে।
জানা গিয়েছে, তিনি গোকুলনগর, বলরামপুর, বয়াল যাবেন। সেখানের বুথে বুথে ঘুরবেন। তাঁর কাছে খবর এসেছে নন্দীগ্রামের বয়ালে মোকতাব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের পোলিং এজেন্ট মৃণাল কান্তি জানা ভয়ে বসতে পারছেন না বলে অভিযোগ। এমন অভিযোগ সামনে এসেছে নন্দীগ্রামের অন্যান্য জায়গা থেকেও। বয়ালের ৬ নম্বর বুথ (বয়াল শম্ভুনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয়) ও ৭ নম্বর বুথ (মোকতাব প্রাথমিক বিদ্যালয়)–এ পোলিং এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এইসব শুনে বেলা ১টার পর অবশেষে বাড়ি থেকে বের হন তিনি।
আর ভোট দিয়েই শুভেন্দু অধিকারী বেরিয়ে পড়েছেন বুথ পরিদর্শনে। এদিন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ‘বেলা ১২টার মধ্যে ৩০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। এটা একটা রিভলিউশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে ভোটই হত না। সিআরপিএফ ভাল কাজ করছে। দেখছেন না রাস্তায় কাউকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না! সুফিয়ান, আব্দুল সামাদরা ট্যাঁফু করতে পারছে না।’ তারপরই পথে নামলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ততক্ষণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন শুভেন্দু।