এলপিজির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ই-স্কুটার নিয়ে পথে নেমে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে ই-স্কুটারে ফিরহাদ হাকিমের পিছনে চড়ে নবান্ন গিয়েছিলেন তিনি। আর নিজেই সেই স্কুটার চালিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। এর পর সংবাদমাধ্যমের সামনে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে তুলোধোনা করেন তিনি।
এদিন মমতা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের কমলেও ভারতে দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এই দাম কী ভাবে বাড়ছে, কারা বাড়াচ্ছে, কত টাকা কী ভাবে যাচ্ছে এর পিছনে একটা বড় রহস্যের খেলা রয়েছে। সেই খেলা ঢাকবার জন্যই মাঝে মাঝে নানা রকম মিথ্যে কথা বলে জনগণকে নানা রকম ছলনা করানো হয়’।
রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে দুষে তিনি বলেন, ‘মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার আগে গ্যাসের দাম ছিল ৪০০ টাকা। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই গ্যাসের দাম বেড়ে হয়েছে ৮২৫ টাকা। একটা বাড়িতে মানুষের ২টো গ্যাস কমপক্ষে লাগে। দুটো গ্যাসের দামই যদি ১৬৫০ টাকা হয় তাহলে সে বাজার করবে কী, খাবে কী, ছেলে মেয়ের পড়াশুনো চালাবে কী করে, রাস্তায় যাতায়াত করবে কী করে’?
কেন্দ্রীয় সরকার বাজেটে কেরসিনের ওপর থেকেও ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন. ‘আজকে রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কেরসিন তেলে ৪,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু মানুষের জীবনের দাম ছাড়া সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে’।
মমতার দাবি, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০০ টাকা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন একেকটা করে নেতা আসছে। একটা কথা বলে না। পেট্রোলের দাম কেন বাড়ল? উত্তর নেই। ডিজেলের দাম কেন বাড়ল উত্তর নেই। এলপিজির দাম কেন বাড়ল উত্তর নেই। যা ইচ্ছে মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছে। তাই সবাই বলছে, চাই না চাই না বিজেপিকে চাই না। এই ধান্দাবাজ, লুঠোরাবাজ, এলপিজির দাম বাড়ানো। পেট্রোলের দাম বাড়ানো, ডিজেলের দাম বাড়ানো চলবে না। দাম অবিলম্বে কমাতে হবে। ৮০০ টাকা যেটা দাম করেছে এখন ওটা ৪০০-য় ফিরিয়ে আনতে হবে। আর না ফেরালে আমরা কিন্তু বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো’।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি ঘিরে নবান্ন থেকে কালীঘাট পর্যন্ত পথের দুধারে ছিল বেনজির নিরাপত্তা। মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথে নজরদারির জন্য UAV ওড়ায় কলকাতা পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ই-স্কুটার চালিয়ে বাড়ি ফিরে বলেন, চালানো একদম সহজ। এবার থেকে একা একাই বেরিয়ে পড়বো।