মতুয়াদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য আছে। একপক্ষ সমর্থন করেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। অপরপক্ষ সমর্থন করেন বিজেপিকে। এই পরিস্থিতিতে এখন দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। পাঁচদিন আগেই ঠাকুরনগরে সভা করেছেন অমিত শাহ। সেখানে মতুয়ারা আশা করেছিলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কিছু বার্তা দেবেন। কিন্তু তা হয়নি। এবার এই বিষয়টি নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের টিকাকরণের কাজ শেষ হলে নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগের বিষয়ে কাজ শুরু হবে। কীভাবে তা হবে? আবেদন করতে হবে কিনা কিছুই খোলসা করেননি শাহ। তাতে নাগরিকত্ব নিয়ে মতুয়াদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। এই দোদুল্যমান পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে নবান্ন থেকে মতুয়াদের ধর্মগুরু গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূর্তির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। বাগদার হেলেঞ্চায় ওই মূর্তি বসেছে। যা মতুয়া অধ্যুষিত। এমনকী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরেরও উদ্বোধন করেছেন তিনি। সুতরাং বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে খানিকটা এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, মতুয়াদের বহুদিনের দাবি ছিল, হেলেঞ্চায় গুরুচাঁদ ঠাকুরের একটি মূর্তি। সেই দাবি পূরণ হওয়াতে তাঁরা খুশি। সেক্ষেত্রে বিজেপি খানিক ব্যাকফুটে চলে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ জায়েন্ট স্ক্রিনে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা মাত্রই মতুয়ারা বাজনা বাজিয়ে, মতুয়াদের পতাকা উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন জানান।
এই বিষয়ে বাগদা ব্লক মতুয়া মহাসঙ্ঘের সম্পাদক বিকাশ বিশ্বাস বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আমাদের মতো পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষের কথা কেউ ভাবেননি। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় আমরা খুশি। মুখ্যমন্ত্রীই ঠিক বলেছেন। আমরা তো এই দেশেরই নাগরিক।’
কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা অল ইণ্ডিয়া মতুয়া বিজেপি সাংসদ তথা সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘এটা মুখ্যমন্ত্রীর ভোট রাজনীতি। ঠাকুরের মূর্তি উদ্বোধন করে মতুয়াদের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন।’