ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার সরকারি চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কখনো টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কখনো টাকা নিয়েও চাকরি পাননি বেকার যুবতীরা। সঙ্গে স্বজনপোষণের অভিযোগ তো রয়েইছে। তবে দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হতে তার পরিবারের সদস্যকে চাকরি দিতে বারবর দরজাহস্ত মুখ্যমন্ত্রী। দলের হয়ে কাজ করলে বখাটেদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এবার চাকরি পাওয়ার নতুন পন্থা জানালেন তিনি। সেজন্য করতে হবে ছোট্ট একটা কাজ।
বুধবার বাঁকুড়ার ওন্দায় মমতা বলেন, ‘ভোটের আগে রাজ্য পুলিশ কমিশনের অধীনে থাকলে কেন্দ্রীয় পুলিশ কেন থাকবে না। এদের দিয়ে এলাকায় এলাকায় টাকা বিলি করাচ্ছে। কেন নাকা চেকিং হচ্ছে না? মা ভাই বোনেরা নজর রাখবেন, যদি কেউ ধরিয়ে দিতে পারেন, একটা পুরস্কার, একটা চাকরি। যদি কেউ ধরিয়ে দিতে পারেন টাকা বিলাচ্ছে রাতের অন্ধকারে দিনের বেলায়।’
বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যে লক্ষ লক্ষ সরকারি স্থায়ী পদ অবলুপ্ত করে অস্থায়ী পদ তৈরি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এতে নিয়োগের পর সেই ব্যক্তির টিকি দলের হাতে বেঁধে রাখা অনেক সহজ। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ক্ষমতায় এলে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ ও ভুরি ভুরি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা। তাতেও বিরোধীদের প্রশ্ন, ১০ বছরে নিয়োগ হয়নি কেন?