রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ বন সহায়ক পদে নিয়োগে কারসাজি করেছেন তিনি। বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে এবার তদন্তে অনুমোদন দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনার পর তদন্তে অনুমোদন দেওয়া হয়।
আলিপুরদুয়ারের জনসভায় মমতা বলেন, ‘ছেলেটা এতদিন আমাদের সঙ্গে ছিল। এখন নেই। বন সুন্দরী স্কিম নিয়ে কী কী দুর্নীতি করেছে জিজ্ঞেস করুন। আমি জানি যে ছেলেটা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ছিল, বন সহায়ক স্কিমে আমাদের সঙ্গে থাকা এক নেতা কারসাজি করেছে। আমার কাছে অনেকে এই অভিযোগ করেছে। নির্বাচন ঘোষণা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও পালটা জবাব দিয়েছিলেন। তাঁর তির ছিল কালীঘাটের দিকে। প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে তিনি নাম না করে বলেছেন, বন সহায়কের চাকরিতে কারসাজি হয়েছে। উনি তদন্ত করবেন। উনি নাম নেননি, আমি নাম নিয়ে বলছি, জেনে রাখুন এই বন সহায়কের নিয়োগ নিরপেক্ষভাবে বোর্ডের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। গত বছর ৮ অক্টোবর সকাল ১০টার সময় আপনাকে মেসেজে বলেছিলাম বীরভূমের বড় নেতা আমায় বলছে, বন সহায়কের সব পদ তাঁকে দিতে হবে। আপনি আমায় পালটা ফোন করে বলেছিলেন, সব জেলায় জেলায় তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের কিছু কিছু করে কোটা তুমি দিয়ে দাও। তৃণমূলের নেতা–মন্ত্রী থেকে বিধায়কদের সুপারিশ এসেছিল। কালীঘাটও থেকে সুপারিশ এসেছে। সব সুপারিশ যত্ন করে রেখে দিয়েছি। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে আপনি বের করছেন।’
এরপর উত্তেজনার পারদ চড়েছিল। দু'পক্ষের চাপানউোতের চূড়ান্ত রাউন্ডে খেলা পৌঁছাল তদন্ত পর্যন্ত। রাজীবের দফতরের কী কী অসঙ্গতি ও দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করল নবান্ন। এমনকী মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তদন্তে অনুমোদন দেওয়া হল। ফলে একুশের নির্বাচনের আগে বিতর্ক জারি রইল বন সহায়ক পদে দুর্নীতি নিয়ে।