তৃণমূলে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। তাঁর দাবি, ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান অপহরণকাণ্ডে নিজেকে পণবন্দি রাখার বিনিময়ে যাত্রী ও বিমানচালকদের ছাড়িয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনার সময় বাজপেয়ী সরকারের রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা।
১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর কাঠমান্ডু থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান অপহরণ করে তালিবান জঙ্গিরা। এর পর বিমানটিকে নিয়ে যাওয়া হয় আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরে। প্রায় এক সপ্তাহের টানাপোড়েনের পর ৩১ ডিসেম্বর যাত্রী ও চালক মিলিয়ে ১৯০ জনকে মুক্তি দেয় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ১ যাত্রীর। পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ভারতীয় জেলে বন্দি জইশ-ই-মহম্মদ সুপ্রিমো মাসুদ আজাহার-সহ বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে মুক্তি দেয় বাজপেয়ী সরকার।
ওই ঘটনার সময় বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন যশবন্ত সিনহা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই। যশবন্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, মমতা ছিলেন রেলমন্ত্রী। এদিন যশবন্ত সিনহা তৃণমূলে যোগ দিয়ে দাবি করেন, ওই ঘটনার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দেন পণবন্দি হিসাবে তাঁকে তালিবানের হাতে তুলে দেওয়া হোক। বদলে মুক্তি দেওয়া হোক যাত্রীদের। তার পর দেশের জন্য তাঁর যা পরিণতি হওয়ার হবে। সেজন্য প্রস্তুত ছিলেন তিনি। বলা বাহুল্য এই প্রস্তাব মানেনি সরকার।
শনিবার তৃণমূলে যোগদানের পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন যশবন্ত সিনহা। তার পর তিনি জানান, ভোটে দাঁড়ানোর কোনও উদ্দেশ নেই তাঁর। সঙ্গে বলেন, বাজপেয়ী জমানায় সহমতির ভিত্তিতে কাজ হত। এখন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়।