নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে হবে। তিনি উসকানিমূলক কথাবার্তা বলছেন। সম্প্রীতি নষ্ট করছেন। তাঁকে ব্লক করা দরকার। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছেও জানানো হবে। তাঁকে কোথাও বক্তব্য রাখতে দেওয়া যাবেনা। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে রাখা নিয়েও উসকানিমূলক কথা বলছেন। শীতলকুচিতে হামলার পর কোচবিহারে সাংবাদিক সম্মেলনে বুধবার রাতে একথা জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান হয়ে যাচ্ছে রাজ্যটা। এভাবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। যত গুণ্ডা আছে জেলে ঢোকানো হোক। পুলিশের কাছে এব্যাপারে এফআইআর করব। প্রসঙ্গত এদিন শীতলকুচিতে দিলীপ ঘোষের গাড়ি সহ একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তিনি বলেন, তৃণমূলের ঝাণ্ডা নিয়ে ওরা ছিল।বোমগুলো আমাদের গাড়িতে পড়ছিল। আমার পিএসও বার বার ফোন করেছেন।কিন্ত পুলিশ দীর্ঘক্ষণ কোনও সহায়তা করেনি। বড় লোহার রড দিয়ে মারা হয়েছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আমারও আঘাত লেগেছে। আইন শৃঙ্খলা কোথায় আছে? নির্বাচন কমিশনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। ওরা চাইছে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকে। এতে দিদির ভাইদের সুবিধা হবে।কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আরও বেশি করে মোতায়েন করতে হবে। এদিন পুলিশের কোনও সহায়তা আমরা পাইনি। এভাবে চলতে পারেনা। আমার নিরাপত্তাই যদি না থাকে তবে সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা কোথায়?’ যে রড দিয়ে তাঁর গাড়িতে আঘাত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সেটিকেও তিনি এদিন দেখান।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কোচবিহারের প্রতিটি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন বিজেপি কর্মীরা। সেখানে প্রার্থীরাও থাকবেন।