পুরুলিয়ায় নির্বাচনী জনসভায় সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার ক্ষমতা দখলের জন্য ভোট চাইছেন। তখন গড়বেতা থেকে একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই রাজ্য–রাজনীতি থেকে ভোটের ময়দান সরগরম হয়ে উঠল। পুরুলিয়া থেকে মোদী যখন কটাক্ষ করে মমতার আঘাতের আরোগ্য কামনা করছেন, তখন গড়বেতার সভা থেকে বিজেপি সম্পর্কে মমতার বিশেষণ ‘ওরা দুয়ারে সাপ।’
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘দিদির চোট লেগেছিল শুনে আমিও চিন্তা করেছি। আমারও চিন্তা হয়। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন। উনিও আমাদের দেশের একজন মহিলা। দিদি বলছেন খেলা হবে। আমরা বলছি চাকরি হবে।’ আর গড়বেতা থেকে মমতা জানালেন, ‘পা এখনও সারেনি, রক্ত জমাট বেঁধে আছে। তবু মানুষের কাছে ছুটে এসেছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মাথায় মারা হয়েছে। দুটো হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পেটে দু’বার অপারশন হয়েছে। পা আমার ঠিক ছিল। পায়ে চোট লাগার ফলে হৃদয়ে চোট লেগেছে। এখন মা বোনেদের পাই আমার পা।’
এরপরই বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে বাংলার নেত্রী বলেন, ‘এটা দিল্লির নির্বাচন নয়। নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচন নয়। এটা বাংলার নির্বাচন। ওঁরা নির্বাচন আসলেই ক্যাশ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। ১০০টা ফ্লাইট ভাড়া করেছে। ভোট লুঠ করার ষড়যন্ত্র করছে। হাতে ক্যাশ বেলুন আর মুখে মিথ্যের গ্যাস বেলুন।’
আমফানের সময় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কাজ ও খরচ তুলে ধরে তাঁর কটাক্ষ,' কোথায় ছিলেন নরেন্দ্র মোদী? ভোট এলেই ক্যাশ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। দুর্যোগের সময় কোথায় ছিলেন বিজেপির চ্যালা–চামুন্ডারা?'
'তিনটি আইন এনেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। যে কোনও সময় কৃষকদের জমি কেড়ে নেবে। আর আমরা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছি। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ৫ হাজার টাকা করে এখন কৃষকরা পাচ্ছেন। মে মাস থেকে ৬ হাজার টাকা পাবেন। সরকার আসলে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন।'
বিজেপির পাশাপাশি সিপিআইএমকেও আক্রমণ করেন মমতা। তাঁদের একসারিতে বসিয়ে দিয়ে বলেন, ‘গড়বেতা মানে সুশান্ত ঘোষের রমরমা। সিপিএম অনেক দেখেছি৷ সুশান্ত, তপনকে দেখেছি৷ ওই পচা সিপিএম এখন পচা বিজেপিতে গিয়েছে। জোচ্চুরি করে ভোটে জিততে চায়। ওদের দলকে জব্দ করতে হলে আমাদের ভোট দেবেন। ঘরের দুয়ারে যদি সাপ লুকিয়ে থাকে, বাঘ হানা দেয় তাহলে তা প্রতিরোধ করতে হবে। তাই তা করতে দেওয়া যাবে না। এই কারণে বারবার ছুটে আসছি।’