তিনি কি দুটি আসন থেকে লড়বেন? দীর্ঘদিন ধরেই সেই রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো চলছিল। বিশেষত প্রচারও চালাচ্ছিল বিজেপি। এবার সেই জল্পনা উড়িয়ে দিলেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানালেন, এবার বিধানসভা ভোটে একটি আসন থেকেই লড়ছেন তিনি।
সোমবার নন্দীগ্রামে পদযাত্রা শেষে ঠাকুরচকের জনসভা থেকে যথারীতি নাম না করে কাঁথির অধিকারীদের আক্রমণ শানান মমতা। তারইমধ্যে বলেন, ‘বলুন তো এত দূরে এসে আমার দাঁড়ানোর কী দরকার ছিল? আমি তো নাও পারতাম। সেখানে তো আমরা এমনিতেও ২৫,০০০-৩০,০০০-৩৫,০০০ (ভোটে জয়) কোনও বিষয় নয়। এমনিতেই মানুষের সঙ্গে রোজ দেখা হয়। খুব ভালোবাসেন। আমি বাংলার যে কোনও জায়গা থেকে দাঁড়াতে পারতাম।'
এমনিতে চলতি বছরের গোড়ার দিকে তেখালিতে সভা করতে গিয়ে মমতা জানিয়েছিলেন, তিনি নন্দীগ্রাম থেকে লড়বেন। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, সম্ভবত দুটি আসন থেকে লড়াই করবেন মমতা। তা নিয়ে আসরেও নেমেছিল। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল, নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ার ভয়ে ভবানীপুর আসনেও লড়াই করবেন মমতা। তাই তাঁকে শুধু নন্দীগ্রামে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণও করেন মমতা। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা তিনি জানিয়ে দেন, নন্দীগ্রাম থেকে লড়বেন তিনি। কিন্তু সেই সাংবাদিক বৈঠকেই টালিগঞ্জের প্রার্থীর নাম ঘোষণা সময় হালকা মেজাজে বলে ওঠেন, 'টালিগঞ্জ থেকে আমিও লড়তে পারি।'
মমতার সেই মন্তব্য নিয়েও আসরে নামে গেরুয়া শিবির। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি এতটাই গুরুত্ব আরোপ করে যে বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করা হয় বলে মত রাজনৈতিক মহলের। যদিও শেষপর্যন্ত টালিগঞ্জে মনোনয়ন জমা দেননি মমতা। ফলে তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, মমতা শুধু নন্দীগ্রাম থেকেই লড়বেন। সোমবার সেই তত্ত্ব আরও পোক্ত করে মমতা বলেন, ‘আবার বলেছে, উনি মিথ্যা কথা বলেছেন। উনি দাঁড়াবেন না। আবার কখনও বলেছেন, উনি দুটি জায়গায় দাঁড়াবেন। কখনও আবার বলেছে, উনি মিথ্যা বলেছেন, নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আরে আমি কথা দিলে কথা রাখি। আমি কথা দিলে কথা রাখি। আমার একটা-দুটো-তিনটে জায়গায় দাঁড়ানোর দরকার নেই দাঁড়াব এখানে, লড়ব এখানে, জিতব এখানে, সরকার গড়ব এখানে। এটাই আমার অঙ্গীকার।’