নন্দীগ্রাম থেকেই বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই এমন খবর মিলেছিল তৃণমূল সূত্রে। মঙ্গলবার জানা গেল তাঁর মনোনয়নের দিনক্ষণও। ১১ মার্চ শিবরাত্রিতে তমলুকে মনোনয়ন পেশ করবেন তিনি। তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশিত না হলেও নন্দীগ্রাম থেকে মমতার প্রার্থীপদ প্রায় নিশ্চিত।
গত ১০ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে গিয়ে সেখান থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন নন্দীগ্রাম বড় বোন আর ভবানীপুর ছোট বোন। সুব্রত বক্সিকে নন্দীগ্রাম থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়ার কথা বিবেচনা করতে অনুরোধ করেন তিনি। তার পর থেকে জল্পনা শুরু হয়, শেষ পর্যন্ত কি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন মমতা? ভবানীপুর ও নন্দীগ্রামে কি একসঙ্গে লড়বেন তিনি?
এরই মধ্যে নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী হুঙ্কার ছাড়েন। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি মমতাকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, দাঁড়াতে হবে শুধু নন্দীগ্রাম থেকেই। অন্য কোনও আসন থেকে দাঁড়ানো চলবে না। আর নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাবো।
এমনকী মমতার ঘোষণার পর নন্দীগ্রামে জয়ের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে সেখানে পাঠান মমতা। সেখানে তাঁর হয়ে সুব্রতবাবুকে জমি তৈরির দায়িত্ব দেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, নন্দীগ্রামে মমতার জীবন-মরণের লড়াই। এই কেন্দ্রে শুভেন্দুকে হারাতে না পারলে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কৃতিত্ব হারাবেন তিনি। যে কৃতিত্বকে সিঁড়ি করে তিনি বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে।