আগামিকাল (বুধবার) মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। তার আগে আজ (মঙ্গলবার) নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুরের হাইপ্রোফাইল কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর কমপক্ষে চারটি সাংগঠনিক বৈঠক সারবেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো।
নন্দীগ্রামে মমতার সম্ভাব্য নির্বাচনী এজেন্ট তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘আজ কমপক্ষে চারটি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৫ মার্চ সরকারিভাবে নন্দীগ্রাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা করার পর এই প্রথম নন্দীগ্রামে আসছেন তিনি।’
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, শিবরাত্রির দিন (আগামিকাল) হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দেবেন মমতা। ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামে কোন বাড়িতে থাকবেন, তা বেছে নেওয়া হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত এক সেনাকর্মীর বাড়িতে নির্বাচনের সময় থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যিনি রীতিমতো আপ্লুত। সেই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যিনি পাঁচ বছর আগে তৃণমূলের টিকিটেই জিতেছিলেন। এবারও তিনিই জিতবেন বলে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু। এমনকী মমতাকে ন্যূনতম ৫০,০০০ ভোটে হারাবেন বলেও দাবি করেছেন।
যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখে সেই দাবি করলেও আদতে মমতাকে হারানোর কাজটা বেশ কঠিন। মমতার ব্যক্তিগত একটা ক্যারিশ্মা আছেই। পাশাপাশি শুধু নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েও বড়সড় চাল দিয়েছেন মমতা। সেই পরিস্থিতিতে ‘ইগোর’ লড়াইয়ে মমতা এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বেন না বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তাতে অবশ্য চিন্তিত নয় গেরুয়া শিবির। বরং‘বহিরাগত’ অস্ত্রে মমতাকে হারানোর বিষয়ে নিশ্চিত বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যে কেন্দ্রে প্রায় ৭০,০০০-এর মতো ভোটে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু।