ভোট লুঠের জন্য বহরমপুর বসে চক্রান্ত করবেন। কোয়ারেন্টাইনে বসেই শনিবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়লেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। শুধু অভিযোগ করেই ক্ষান্ত থাকেননি, নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
শনিবার নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো অভিযোগপত্রে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি লিখেছেন, ‘তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরে রাত্রিবাস করে ভোট লুঠের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করবেন। তিনি প্রভাব খাটিয়ে সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেবেন। তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীকে ভোট লুঠের নির্দেশ দেবেন।’ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, ওই দুই নির্বাচনের মতো একই কায়দায় ভোট লুঠের পরিকল্পনা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখে অধীর আবেদন করেন, মুর্শিদাবাদের মানুষ যেন তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। তৃণমূলের সরকারি প্রশাসনকে কাজে লাগানোর 'অপচেষ্টা'-কে রুখে দেওয়ার দাবি তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
উল্লেখ্য, শনিবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে সাংবাদিক বৈঠকে কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। অভিযোগ করেন, ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলকর্মীদের গ্রেফতার বা আটক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি কাগজ তুলে ধরে মমতা দাবি করেন, তাঁর কাছে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে তিন পর্যবেক্ষকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আছে। তারপর থানা ঘেরাওয়ের নিদান করেন।
মমতা বলেন, ‘আমি বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ থেকে শুরু করে যাদের যেখানে ভোট আছে, সমস্ত জায়গায় সবাইকে অ্যালার্ট করব, এখন থেকে সতর্কতা নিন। একদিকে, কোভিডের লড়াই, অন্যদিকে ইলেকশন কমিশনের লোকেরা বিজেপির হয়ে যাতে ভোট করতে না পারে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যদি কাউকে বেআইনিভাবে আটকে রাখে পুলিশ, তাহলে তাঁর ছেলে-মেয়েরা রাতের বেলা থানায় গিয়ে বসে থাকবেন, থানা ঘেরাও করবেন এবং বলবেন বেআইনিভাবে আটক কেন করা হয়েছে, ব্যাখ্যা দাও এবং দরকার হলে কোর্টের কাছেও যেতে হবে।’