মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের ১৯–২০ মার্চ সফর আপাতত বাতিল। এই দুটি দিন ওখানেই সভা করার কথা ছিল। আঘাতের পর এই সফর ঘিরে ছিল চরম উন্মাদনা। কিন্তু আপাতত সফর বাতিল করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আগামী ২৯–৩০ মার্চ প্রচারে যেতে চান তিনি। কিন্তু কেন সফর পিছিয়ে গেল? জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামে ভোট দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ এপ্রিল। তাই নির্বাচনের আগে নন্দীগ্রামে গিয়ে প্রচার করতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
নন্দীগ্রামে শেষ সফরে তিনি বাঁ–পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন। যা নিয়ে তাঁকে ভুগতে হয়েছে। এখন তিনি হুইল চেয়ারকে সঙ্গী করেই জেলায় জেলায় সফরে যাচ্ছেন। প্রথমে কলকাতার রাজপথে মিছিলে এবং তার পর জঙ্গলমহলে প্রচার সেরেছেন তিনি। বুধবারও তাঁর জঙ্গলমহলে নির্বাচনী প্রচার রয়েছে। দু’টি নির্বাচনী জনসভা সেরে তাঁর কলকাতায় ফিরে বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশ করার কথা। আর ইস্তেহার প্রকাশের পরই অন্যান্য জেলায় প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রাম সফর পিছিয়ে যাওয়ার আর কোনও কারণ আছে? সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর থাকার জন্য যে বাড়িটি নন্দীগ্রামে দেখা হয়েছিল, সেটি দোতলা বাড়ি। সেখানেই থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু পায়ে চোটের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দোতলায় উঠতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রী এখন চলাফেরা করছেন হুইলচেয়ারে। সেক্ষেত্রে হুইল চেয়ার সমেত মুখ্যমন্ত্রীকে দোতলায় তোলা যাবে না। সেটা একপ্রকার অসম্ভব ও ঝুঁকির বলেও মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের চোট এখনও সারেনি। ফলে তাঁর পক্ষে সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় যাওয়া সম্ভব নয়। সফর বাতিলের এটাও একটা কারণ।