তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর কী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে বাংলার রাজনীতিতে। আর সেটা নিয়েই জল্পনা ছড়িয়েছিল। শোনা গিয়েছিল তিনি বিজেপি যোগ দিতে পারেন। তবে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ।
বিজেপি এখন বাংলা দখলের চেষ্টায় মরিয়া। বনগাঁয় মতুয়াদের মন জয়ই লক্ষ্য। এই আবহে মতুয়া বাড়ির অন্দরের রাজনৈতিক সমীকরণও কি বদলাতে চাইছে গেরুয়া শিবির? প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের বক্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে সেই জল্পনা।
ঠিক কী বলেছিলেন মমতাবালা? তিনি দাবি করেন, রাজ্যের বাইরে থাকা মতুয়া সংঘের সদস্যদের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার তাঁর কাছে বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব এসেছিল। এই মন্তব্যই জল্পনার সৃষ্টি করে। তাই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল আমায় সম্মান দিচ্ছে। যতদিন সম্মান দিচ্ছে ততদিন প্রশ্নই ওঠে না বিজেপিতে যাওয়ার। আমার পরিচিতি শুধুমাত্র ঘাসফুল শিবিরের জন্য। তাই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না। বিজেপি একেবারেই আমার না–পসন্দ।’
এমনকী বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি বলেন, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আজকে নরেন্দ্র মোদীর সরকার সিএএ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য রাখছেন। ইতিমধ্যেই বিধি প্রণয়ন নিয়ে আরও তিন মাস সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানুষকে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে, দু’দুবার করে আসবে বলে অমিত শাহ আসেননি। মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে তাদের বারবার অপমান করা হচ্ছে।’
তাঁর দাবি, নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেশবাসীর কাছে অপমানের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য রাখার সময়ে ওই স্লোগানের মাধ্যমে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পাশাপাশি গোটা দেশবাসীকে বিজেপি অসম্মান করেছে। এরপরই তিনি জানান, আমরা ভারতীয় নাগরিক। কারণ আমরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি। দেশের নির্বাচন কমিশনে বলে দিয়েছে যে যারা ভোট দেয়, তারা এদেশের নাগরিক। আমি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব মানুষ এদেশে এসেছেন, যারা ভোট দিয়েছে তাদেরকে বলব, ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ তারা সকলেই এদেশের নাগরিক।