এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন সুশীল বর্মণ। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের অশোক বর্মণ। মাথাভাঙা কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।
কোচবিহার জেলা পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের জলপাইগুড়ি বিভাগের একটি জেলা। আয়তনের হিসেবে এটি রাজ্যের ত্রয়োদশ ও জনসংখ্যার নিরিখে ষোড়শ বৃহত্তম জেলা। এই জেলার উত্তরে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা, দক্ষিণে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ, পূর্বে অসমের ধুবরি জেলা ও পশ্চিমে জলপাইগুড়ি জেলা ও বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ অবস্থিত।
বর্তমান কোচবিহার জেলা অতীতে বৃহত্তর কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। ১৭৭২ সালে কোচবিহার রাজ্য ব্রিটিশ ভারতের একটি করদ অর্থাৎ করদাতা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৪৯ সালে কোচবিহারের তদনীন্তন রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর রাজ্যটিকে ভারত অধিরাজ্যের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয়।
মাথাভাঙা কোচবিহারের একটি বিধানসভা আসন। ২০১৬ -র বিধানসভা নির্বাচনে মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ পেয়েছিলেন ৪৮.১০ শতাংশ ভোট। এই নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলেন খগেন্দ্রনাথ রায়। তিনি পেয়েছিলেন ৩২.১৭ শতাংশ ভোট। এই বিধানসভা কেন্দ্রেও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের অনন্ত রায় বিজেপি প্রার্থী হেমচন্দ্র বর্মণকে পরাজিত করে মাথভাঙা আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সিপিআইএমের দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া এই আসনে ছ'বার জিতেছিলেন। তাছাড়া ১৯৬৭ সালেও নির্বাচনে জয়ী হেঠিসেন। তিনি ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের জিতেন্দ্রনাথ বর্মণ, ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের প্রসেনজিৎ বর্মণ, ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের জিতেন্দ্রনাথ বর্মণ, ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের হিতেন্দ্রনাথ প্রামাণিক ও ১৯৭৭ সালে প্রতাপ সিংহকে পরাজিত করেছিলেন দীনেশ।