বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা হয়ে গিয়েছে। তারপর প্রার্থী বদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে অশোকনগর, দুবরাজপুর এবং কল্যাণীর প্রার্থী বদল করা হয়েছে। এবার রবিবার আরও এক কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, এবার প্রার্থী বদল হল উত্তরবঙ্গের একটি কেন্দ্রের। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, মাটিগাড়া–নকশালবাড়ি কেন্দ্রের প্রার্থী বদল করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টের প্রাক্তন অফিসার নলিনীরঞ্জন রায়কে মাটিগাড়া নকশালবাড়ি কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রচারও শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই এই কেন্দ্রের প্রার্থী বদল করা হল। এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে রাজেন সুনদাসকে। দার্জিলিংয়ের আরটিও–তে কর্মরত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক কারণেই এই প্রার্থী বদল করা হয়েছে।
কী সেই রাজনৈতিক কারণ বা সমীকরণ? সূত্রের খবর, তৃণমূলত্যাগীদের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য টিকিট দিয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে মাটিগাড়া–নকশালবাড়িতে উলাটপূরাণ দেখা যায়। বিজেপির উত্তরবঙ্গের বুদ্ধিজীবী সেলের পদ ছেড়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে শামিল হন নলিনীরঞ্জন রায়। তারপরই প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম দেখা যায়। রবিবার তাঁকেই সরিয়ে দেওয়া হল প্রার্থী পদ থেকে। জেলার অধিকাংশ কর্মীদের দাবি এমনই ছিল।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জানান, বিজেপি ত্যাগী এই নেতার প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। প্রচারে জাঁকজমক থাকলেও তা ইভিএমে রূপান্তর ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়। যার জেরে আলোচনার জন্য দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারকে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়। রাজেন সুনদাস কলকাতায় আসেন। তারপরই রবিবার মাটিগাড়া–নকশালবাড়ি কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের কথা ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়া–নকশালবাড়ি আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন কংগ্রেসের শংকর মালাকার। বিজেপির হয়ে লড়াইয়ে রয়েছেন আনন্দময় বর্মন। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে এই কেন্দ্রে এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইল না তৃণমূল কংগ্রেস বলে খবর।