এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন মধুসূদন ভট্টাচার্য। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন আইনজীবী ভীষ্মদেব ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের সনত্ বন্দ্যোপাধ্যায়।
মেমারি বর্ধমান জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। মেমারি বিধানসভা কেন্দ্রটি মেমারি পুরসভা, মেমারি-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত। এছাড়াও কুচুট ও সাতগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি মেমারি-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলির অন্তর্গত পড়ছে। মেমারি বিধানসভা কেন্দ্রটি বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আগে এই কেন্দ্রটি বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছিল। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের একটি। ২০০৯ সালে এই লোকসভা কেন্দ্রটি তৈরি হয়। এটি তফসিলি জাতির অন্তর্গত ও মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বেগম নার্গিস জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৪ হাজার ৪০৬৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী দেবাশিস ঘোষ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৮৫ হাজার ৫২৩৷ তৃণমূল প্রার্থী বেগম নার্গিস তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী দেবাশিস ঘোষকে ৮ হাজার ৮৮৩ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০০৬ সালের নির্বাচনে, সিপিআইএমের সন্ধ্যা ভট্টাচার্য মেমারি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের এস.কে মহম্মদ ইসমাইলকে পরাজিত করেছিলেন তিনি।
২০০১ ও ১৯৯৬ সালে সিপিআইএমের তাপস চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সৈয়দ মুস্তাক মুর্শেদকে ও কংগ্রেসের নবকুমার চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১, ১৯৮৭ ও ১৯৮২ সালে সিপিআইএমের মহারাণী কোনার যথাক্রমে কংগ্রেসের আবদুল ওহিদমৌলা, নবকুমার চট্টোপাধ্যায় ও সব্যসাচী সামন্তকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের বিনয় কোনার জনতা পার্টির সূর্য নারায়ণ পালকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের নবকুমার চট্টোপাধ্যায় এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ ও ১৯৬৯ সালে সিপিআইএমের বিনয়কৃষ্ণ কোনার এই আসনে জিতেছিলেন। এছাড়াও ১৯৬২ সালে সিপিআইয়ের সুচন্দ্র সোরেন মেমারি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।এর আগে মেমারি আসনটি ছিল না।