বাংলায় নির্বাচনের সময়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে গিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন।শনিবার খড়গপুরে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন খড়গপুরের সভা থেকেই মমতা অভিযোগ করেন, বাংলায় নির্বাচন চলছে। এই সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে গেলেন এবং বাংলার ওপর বক্তব্য রাখলেন।এটা সম্পূর্ণ নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল।
গতকাল দুদিনের সফরে বাংলাদেশে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশ সফরে গিয়ে শেখ মুজিবর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।সেইসঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাণপুরুষ হরিচাঁদ ঠাকুরের জম্মস্থান ওড়াকান্দিতে যান প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর নিয়েই এবার বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি জানান, বাংলায় যখন ভোট চলছে, তখন বাংলাদেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকেদের প্রভাবিত করতে পারেন না।নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানান তৃণমূল নেত্রী।
এই প্রসঙ্গে গত লোকসভা ভোটে বাংলাদেশের এক অভিনেতা ফিরদৌসের তৃণমূলের হয়ে প্রচারের প্রসঙ্গও তোলেন মমতা।এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, গত লোকসভা ভোটে বাংলাদেশের এক অভিনেতা তৃণমূলের এক প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে এসেছিলেন।প্রচারে এসেছিলেন বলে বাংলাদেশকে বলে ভারত সরকার তাঁর ভিসা বাতিল করে দেয়, যাতে সে আর ভারতে আসতে না পারে। ফিরদৌসের যদি ভিসা বাতিল হতে পারে, তাহলে নরেন্দ্র মোদীরও ভিসা বাতিল করা হবে না কেন?আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।'
এদিন খড়গপুরে এসে রেল কলোনিতে থাকা বাসিন্দাদের পাশেও দাঁড়ান মমতা। বলেন, রেলের জমি থেকে উদ্বাস্তুদের হঠানোর চেষ্টা হলে মনে রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসে আছেন।উদ্বাস্ত কাউকে যেতে দেব না।রাজ্য সরকারের জমিতে যে সব উদ্বাস্তু পরিবার আছেন, তাদের স্বীকৃতি দিয়েছি। কোনওভাবে উদ্বাস্তদের উচ্ছেদ করা যাবে না।যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার রেল, কোল ইন্ডিয়া, বিএসএনএল বেচে দিচ্ছে বলে অভিযোগ, তারও নিন্দা করেন তৃণমূল নেত্রী।এই প্রসঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে মমতা জানান, কেন্দ্রীয় সরকার সব দিচ্ছে। সব বিক্রি করে দিচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী শুধু নিজের নামে স্টেডিয়াম করে বেড়াচ্ছে।এরপরই বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তুলে মমতা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে নিজের মার্কেটিং করতে গিয়েছেন।এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এখন রাজ্য রাজনীতিতে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।