‘মোদী—অমিত শাহ আপনারা খুনি, আপনাদের দু’জনের হাতে রক্ত লেগে আছে।’ শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে ‘খুনি’ বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান। তাঁর অভিযোগ, স্বচ্ছভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পেরে, এবার খুনের রাজনীতিতে নেমেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ৷ তাঁরাই ‘গুলি করে খুন করছেন' বলে অভিযোগ করলেন ডেরেক।
শনিবার চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হন সদ্য ভোটার হওয়া ১৮ বছরের এক তরুণ৷ জীবনের প্রথম গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ দিতে হয় তাঁকে৷ তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর৷ সেই ঘটনার পর বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে৷
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে আক্রমণ শানিয়ে একটি ভিডিয়ো টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ সেখানে তিনি মোদী-শাহকে ‘খুনি' বলেন৷ ওই টুইটে তিনি অভিযোগ করেন, ‘যখন আপনারা স্বচ্ছভাবে লড়তে পারেননি, তখন গুলি করে হত্যা করেছেন৷ মোদি-শাহ আপনারা খুনি৷ আপনাদের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজিকে সরিয়েছে। তাছাড়া যেখানে আজ ৫ জনকে হত্যা (কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে চারজনের মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে) করা হয়েছে, সেখানকার পুলিশ সুপারকেও বদলি করে দেওয়া হয়েছে৷' এখানেই থামনেনি ডেরেক৷ তিনি অভিযোগ করেন, ‘মোদি-শাহ মরিয়া হয়ে উঠেছেন৷ আপনারা ঠগ৷ যদি ৫ জনের প্রাণ যথেষ্ট না হয়, তাহলে আরও তিনজনকে গুলি করুক কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ এটাই আপনাদের সোনার বাংলা! এর জন্য বাংলা আপনাদের কখনও ক্ষমা করবে না৷’
এদিকে মাথাভাঙায় বাহিনীর গুলি চালানো ঘটনা কমিশনের তরফে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে৷ সেই সঙ্গে এ—ও বলা হয়েছে যে, মাথাভাঙার ১২৬ নম্বর বুথে দু’দলের সংঘর্ষ হয়৷ সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দু’পক্ষকে সামলাতে গেলে, বাহিনীর বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়৷ এমনকী, বাহিনীর উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ৷ তখনই আত্মরক্ষার্থে বাহিনী গুলি চালায় বলে জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন৷