তিনি ভোট–গুরু। আবার রাজনীতিতে চাণক্য। সরকার ভাঙা–গড়ার খেলায় তিনি সিদ্ধহস্ত। দল ভাঙানোর খেলায় তিনি নায়ক। আর নির্বাচনের নেপথ্যে তিনিই কাণ্ডারি। হ্যাঁ, তিনি মুকুল রায়। আর এইসব বিশেষণ তাঁকে দিয়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে এবার তিনি সরাসরি মাঠে নেমে পড়েছেন। অর্থাৎ নামিয়ে দিয়েছে মোদী–শাহরা। একুশের নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে তিনিই প্রার্থী। প্রতিপক্ষ বিনোদন জগৎ থেকে রাজনীতিতে নবাগতা। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। কিন্তু দলবদলু মুকুলকে ‘হেভিওয়েট’ প্রতিপক্ষ বলে মানতেই নারাজ কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। কারণ তিনি বলেন, ‘কখনও কোনও নির্বাচনে জয়লাভ করেননি মুকুল রায়। ওঁকে হেভিওয়েট প্রার্থী বলে মনেই করি না।’
প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার পরই প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন কৌশানী। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর এবং দক্ষিণে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বিজেপি এগিয়েছিল, তাই আর সেই সুযোগ দিতে চাইছেন না তিনি। তবে তাঁর প্রেমিক বনি সেনগুপ্ত গিয়েছেন পদ্মশিবিরে। কিন্তু তাতে কি হয়েছে, একুশের লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হ্যাট্রিক করবেন বলে মনে করেন তিনি। তাই কৌশানী বলেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে ২৯১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। আর বিরোধীদের কাছে প্রার্থী এতই কম যে সাংসদদের বিধায়ক হিসেবে দাঁড় করাতে হয়েছে। একবারে নামও ঘোষণা করতে পারেনি। আর তাই তৃতীয়বার বাংলার মানুষ মমতাকেই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসাবেন।’
এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির প্রথমসারির নেতা প্রণব রায় বলেন, ‘কৌশানী মুকুলের সম্পর্কে জানেন না বলেই এমন মন্তব্য করেছেন। কৌশানীর উচিত গুগল সার্চ করে মুকুল রায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া। দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী এবং সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তিনি। বাংলার রাজনীতিতে তাঁর পরিচয় অনেক বড়। এসব অবাস্তব কথা কাজে আসবে না।’