২০০১ সালের ১৩ই মে। সেবার জগদ্দলে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হরিপদ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মুকুল রায়। এরপর প্রায় বছুর কুড়ি পরে। ২০২১য়ের ২রা মে। কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে ৩৫ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছেন তিনি। বলা যায় ভোট রাজনীতির দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ী হয়েছেন মুকুল রায়। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, তারপরেও কোথাও যেন স্পট লাইটের বাইরে চলে যাচ্ছেন মুকুল রায়। এবারের বিধানসভাতে তাঁকে বসতে হবে বিরোধী আসনে। বীজপুরেও জিততে পারেননি তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তাঁর প্রাক্তন দল যখন আনন্দ উচ্ছাসে ভাসছে তখন কোথাও যেন প্রচারের আলো থেকে কিছুটা দূরে তিনি। তবে এদিন তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা যায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়ি পরিদর্শনে। কিন্তু সেখানেও তিনি অনেকটাই চুপচাপ। সোশ্যাল মিডিয়াই হোক কিংবা রাজনীতির আঙিনায় মুকুলের এই আপাত নিরবতাই এখন রাজনৈতিক মহলের চর্চার বিষয়।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে গত লোকসভা ভোটের আগেও যেভাবে গুরুত্ব পেতেন মুকুল রায়. এবারের বিধানসভা ভোটে কী আদৌ সেই গুরুত্ব পেয়েছেন তিনি? নাকি তাঁকে কোণঠাসা করেই ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপির একাংশ? এসবের জেরেই কী কিছুটা আড়ালে থাকছেন মুকুল? এদিকে ইতিমধ্যেই দলবদলুদের ফিরে আসার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মুকুলের হাত ধরেই তো তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন অনেকেই। এবার কী করবেন তাঁরা, তা বলবে সময়ই।