ফের খুন। ভোটের ফলাফল বের হতেই ফের সন্ত্রাসের ছবি ফিরল দিনহাটা জুড়ে। দিনহাটাতে সামান্য ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। এরপর থেকেই দিনহাটা জুড়ে একের পর এক সন্ত্রাসের অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের দাবি, গ্রামে গ্রামে চলছে ভাঙচুর, লুঠপাট। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার পেছনে রয়েছে। এসবের মধ্যেই সোমবার কোচবিহারের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের পেটলা অঞ্চলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হল এক বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম হারাধন রায়। অপর বিজেপি কর্মী চন্দন রায় গুরুতর আহত অবস্থায় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অভিযোগের তির তৃনমুলের দিকে।
মৃত বিজেপি কর্মীর মা ভারতীবালা রায় বলেন, 'আমার ছেলে বিজেপি করত। কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এরপর শুনি আমার ছেলেকে ওরা পিটিয়ে মেরে দিয়েছে। তৃণমূলের লোকজনই এর সঙ্গে যুক্ত।' এদিকে ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় একের পর এক দোকানপাট ভাঙচুর করা হচ্ছে। তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকায়। তবে সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
অন্যদিকে একের পর এক এই সন্ত্রাসের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট করছেন তারা। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কেন এই পরিস্থিতির দায় নেবে না সেই প্রশ্ন তুলছেন বিজেপির নীচুতলার কর্মীরা। এমনকী কোচবিহার জেলা বিজেপির এক নেত্রীও এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। সব মিলিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব কেন সংকটের দিনে পাশে থাকছে না সেই প্রশ্ন উঠছে দলেরই অন্দর থেকে।