ভোটের ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় বসতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এরপরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক সংঘর্ষের বিরাম নেই। দিন কয়েক আগেই খানাকুলের নতিবপুরে এক তৃণমূল কর্মীর প্রাণ গিয়েছিল রাজনৈতিক হিংসার জেরে। এবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ গেল তারকেশ্বরের এক তৃণমূল কর্মীর। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। মৃতের নাম গোপাল পাত্র। স্থানীয় সূত্রে খবর এলাকায় একটি মাচা পোড়ানো ও দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এই সংঘর্ষে দুপক্ষের ১০জন জখম হন। এদিকে গোপাল পাত্রের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা কিছুতেই কমছে না। তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি শিবিরের লোকজনও জখম হচ্ছেন। ইতিমধ্যে মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। প্রশ্ন উঠছে ভোট মিটে যাওয়ার পরেও কেন এভাবে দলের সাধারণ কর্মীদের প্রাণ দিতে হচ্ছে?
তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। তিনি বলেন, 'বিজেপি খুনের রাজনীতি করছে। খানাকুলে এক তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়েছে। গোঘায়, পুরশুরা, আরামবাগ সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বলাগড়ে ২জন তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এসব চলতে পারে না। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে বলব।' তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। অন্যদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুজন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে।