এবারে যুযুধান দুই শিবিরের হেভিওয়েটদের সম্মুখসমর প্রত্যক্ষ করবে নন্দীগ্রাম। ‘হাইভোল্টেজ’ নন্দীগ্রামে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে পারদ চড়ছে নন্দীগ্রামের।
মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলার উত্তরে পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলা রয়েছে। পূর্বে হুগলি নদী ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ওড়িশা রাজ্য অবস্থিত। নন্দীগ্রাম এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আজ (১ এপ্রিল) নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ।
এই রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়ে রয়েছ নন্দীগ্রাম। কারণ দীর্ঘ বাম জামানার অবসান ঘটিয়ে পরিবর্তনের সরকার আনার অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল এই নন্দীগ্রামই৷ গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তৃণমূল সু্প্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হয়ে নন্দীগ্রামে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনিই এবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন একদা তাঁর দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে৷ সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পালটা হুংকারও ছেড়েছেন মমতা৷ ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের আত্মবিশ্বাসকেই প্রাধান্য দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর নন্দীগ্রামে পৌঁছে যান মমতা৷
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জয়ী হয়েছিলেন৷ এবার তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। সে বছর তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১৩৪,৬২৩৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইয়ের আবদুল কবির শেখ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৫৩,৩৯৩৷ তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইয়ের আবদুল কবির শেখকে ৮১,২৩০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।