নন্দীগ্রামের ভোটার। ভোট দেবেন বলে ব্রজমোহন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র পট্টনায়ক ও তাঁর স্ত্রী নিবেদিতা পট্টনায়ক। কিন্তু বুথে ঢোকার পর জানতে পারেন, ভোটার লিস্টে তাঁরা মৃত। অগত্যা বুথ থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।বা ইরে দলীয় বুথ ক্যাম্পে গিয়ে জানতে পারে, তাঁদের লিস্টে ওই দম্পতিকে মৃত বলে উল্লেখ নেই।স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের অনেকেরই প্রশ্ন, কীভাবে একজন জীবিত ভোটারকে মৃত বলে ভোটার লিস্টে দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্রজমোহন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ৬৯ এ বুথে ভোট দিতে যান ওই দম্পতি। প্রথমে ভোট দিতে বুথে ঢোকেন নিবেদিতা। তিনি যখন ফার্স্ট পোলিং অফিসারকে নিজের নাম জানান, তখন ভোটের দায়িত্বে থাকা অফিসার জানান যে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ভোটার লিস্টে তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন নিবেদিতা। রিটার্নিং অফিসার জানান, যেহেতু ভোটার তালিকায় তাঁকে মৃত বলে দেখানো হয়েছে, তাই তিনি ভোট দিতে পারবেন না। নিবেদিতার স্বামী সুভাষকেও একই কথাই জানানো হয়। তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি জীবিত মানু্ষ। সামনে দাঁড়িয় আর আমাকে মৃত বলছেন।এরপর তিনি সরসরি রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে রিটার্নিং অফিসার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এক্ষেত্রে তাঁর কিছুই করার নেই।
স্বভাবতই এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুভাষচন্দ্র পট্টনায়ক। তিনি বলেন, 'এই ঘটনাকে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ছাড়া কী বলব। নির্বাচন কমিশন বারবার বলছে সাধারণ ভোটার যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে, এটাই কি তার নমুনা? সব নন্দীগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করে ভোট করাচ্ছে কমিশন। অথচ একজন সাধারণ মানুষই ভোট দিতে পারল না।'